রাজধানীর পল্লবীতে পাঠাও লিমিটেডের মিরপুর অফিসে হামলা ও কর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলার শুনানি আগামী ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ১৫৪ ধারায় এটি আমলযোগ্য অপরাধ হিসেবে রুজু করা হয়েছে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের পল্লবী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, মামলাটি আদালতে উপস্থাপনের জন্য আগামী ১১ জানুয়ারি শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডিএমপির পল্লবী থানায় দায়ের করা মামলাটির নম্বর ৭৬১। গত ৭ ডিসেম্বর রাতে এটি গ্রহণ করা হয়। মামলায় দণ্ডবিধির ১৪৩ (বেআইনি জনতা), ৪৪৮ (অনধিকার প্রবেশ) ও ৫০৬ (হুমকি) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ৩ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে পল্লবী থানার মিরপুর সেকশন-১২ এলাকায় পাঠাও রাইড সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের অফিসে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগে বলা হয়, ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল অফিসে ঢুকে কর্মরত কর্মীদের ওপর চড়াও হয় এবং অফিস ত্যাগ করতে হুমকি দেয়। অন্যথায় মারধর ও অফিস ভাঙচুরের ভয় দেখানো হয়।
এ সময় পাঠাও লিমিটেডের তিনজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং অভিযুক্তদের কোনো দাবি থাকলে তা জানাতে অনুরোধ করেন। এরপর অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়জন অফিসের ভিতরে প্রবেশ করেন, তবে বাকিরা বাইরে থেকে হুমকি, অশ্রাব্য ভাষা ও হট্টগোল চালাতে থাকেন। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. আসাদুজ্জামান (ওরফে আসাদ আজিজ), কাওসার আহমেদ (ওরফে কাওসার মুসল্লি), মো. আবদুস সান্ডার লিটন, মো. আমিন খান এবং আবদুল হালিম। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী, পাঠাও লিমিটেডের লিগ্যাল অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের এক্সিকিউটিভ রফিউর জামান বলেন, ঘটনার পর কর্মপরিবেশ ও সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বিষয়টি থানায় জানানো হয়।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে পল্লবী থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো. সোহান মোল্লা দায়িত্ব পালন করছেন।
এমএএইচ/