জাতীয়

ঢাকার আইভ্যাক পরিদর্শনে ভারতীয় হাইকমিশনার, চিকিৎসা ভিসায় গুরুত্ব

নিরাপত্তা উদ্বেগের মধ্যে ঢাকার ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। এ সময় তিনি ভিসা সেবার সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। চিকিৎসা ভিসার জন্য আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও জানান তিনি।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকার আইভ্যাক পরিদর্শনে গিয়ে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ঘুরে দেখেন এবং আবেদনকারীদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শোনেন। ভারতীয় হাইকমিশন এসব তথ্য জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছে।

পরিদর্শনকালে জানা যায়, বর্তমানে ভিসা আবেদনকারীদের বড় একটি অংশ চিকিৎসা ভিসার জন্য আবেদন করছেন। এসব আবেদনকারীর অনেকেই ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে গুরুতর রোগের চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন।

হাইকমিশন জানায়, গত সপ্তাহে নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকার ভারতীয় ভিসা সেন্টার একদিনের জন্য বন্ধ রাখা হলেও পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তা পুনরায় চালু করা হয়। বন্ধের দিনে যাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিকল্প তারিখে ভিসা আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়।

হাইকমিশন জানায়, চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির মধ্যেও মানবিক বিবেচনায় চিকিৎসাসহ জরুরি ভিসা সেবা চালু রাখতে সচেষ্ট রয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন। এ কারণে ঢাকা ছাড়াও খুলনা, সিলেট ও রাজশাহীর আইভ্যাক কেন্দ্রগুলোতে ভিসা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

তবে চট্টগ্রামের আইভ্যাক সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ১৮-১৯ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রামে সহকারী হাইকমিশনারের প্রবেশপথে হামলা ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় নিরাপত্তার গুরুতর উদ্বেগ তৈরি হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরিদর্শনকালে আইভ্যাক কর্মকর্তারা হাইকমিশনারকে জানান, বিপুল পরিমাণ জাল নথি জমা পড়ছে এবং দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীরা সার্ভারে হ্যাকের চেষ্টা করে কৃত্রিম চাপ সৃষ্টি করছেন, যার কারণে প্রকৃত আবেদনকারীরা বৈধ অ্যাপয়েন্টমেন্ট থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, এই সমস্যাগুলো সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দেন এবং আবেদনকারীদের বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে ও দালালদের এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।

হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সব ভিসা কেন্দ্র পূর্ণভাবে চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জেপিআই/এমএমকে/জেআইএম