শাওন আহমেদ
শীতের প্রকোপে কাঁপছে দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা ও চায়ের রাজ্য খ্যাত শ্রীমঙ্গল উপজেলা। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বইছে শীতের আমেজ ও কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়া। এই শীতে কেমন দিন যাপন করছেন রেল স্টেশনে থাকা গৃহহীন অসহায় মানুষগুলো। রাত কীভাবে কাটছে তাদের।
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্য মৌলভীবাজার অন্যতম জনপ্রিয় জেলা। উঁচুনিচু টিলা আর চা বাগানের জন্য বিখ্যাত এই জেলাকে এক নামে চেনেন পর্যটকরা। এই জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং দেশের বাইরে থেকে ভ্রমণে আসেন পর্যটকরা। এখানে উঁচুনিচু টিলা, চা বাগান ছাড়াও বেশকিছু পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে।
চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও এই উপজেলার সব জেলায় শীতের আমেজটা বেশি থাকে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি শীত পড়ে এমন জেলাগুলোর মধ্যে মৌলভীবাজার (শ্রীমঙ্গল) অন্যতম। এ শহর এখন কুয়াশা ঢাকা, কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে। ভোরের দিকেই শীতের তীব্রতা বেশি দেখা যায়। এই শীতের মধ্যে কেমন আছেন রেল স্টেশনে থাকা মানুষগুলো বা কেমন দিন এবং রাত কাটাচ্ছেন এখানে থাকা গৃহহীন মানুষজন। টা ছবিগুলো দেখেই হয়তো কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারছেন। মনে হয় তাদের পাশে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো এবার কেউ নেই এই শীতে।
রেল স্টেশনে থাকা মানুষরা বলছেন, এবার শীতে আমরা অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে দিন রাত কাটাচ্ছি। আমাদের এবার দেখার জন্য কেউ আসেন নাই, আজ মানবতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো আমাদের পাশে কেউ নেই। আমরা অনেক কষ্টকর করে জীবনযাপন করছি।
এদিকে চা বাগানে কাজ করা শ্রমিকরাও অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে কাজে যোগ দিচ্ছেন। চা বাগানে কাজ করা একজন শ্রমিক বলেন, ‘আমরা সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে কাজে যোগ দেই, কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় শীতকালে। শীতের কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় কাজ করতে বেশ অসুবিধা হয়।’
জানা যায় এই শীতে কেউ মানবতার হাত বাড়িয়ে দেননি এসব অসহায় গৃহহীন মানুষগুলোর দিকে। গত শীতে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই, কিন্তু এই শীতে কারো কাছ থেকে কোনো সাহায্য পাননি। ফলে গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে শীতের রাত কাটাচ্ছে তারা।
ঘন কুয়াশার কারণে শ্রীমঙ্গলের সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছেন গাড়ি চালকরা এবং স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের শীতের পোশাক পরে হিমেল বাতাসকে উপেক্ষা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে। চা শ্রমিকসহ কৃষি খামারে কাজ করা শ্রমিকরা তীব্র ঠান্ডায় ভয়াবহ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
অন্যদিকে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডাজনিত রোগ-বালাইও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে সর্দি, কাশি ও শাসকষ্টজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক মানুষ ও শিশুরা।
আরও পড়ুনফাইনাল পরীক্ষা শেষ, ছুটিতে রঙিন হোক শৈশবসন্ধ্যা নামলেই পুরোনো ইলেকট্রনিক্স পণ্যের হাট বসে যেখানে
কেএসকে/এমএস