২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর মাঠে গড়াবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। ভারতে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ‘সি’ গ্রুপে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে ইতালি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড ও নেপালকে। বিসিবির ক্রিকেট অপরাশেন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম আশা করেন বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারবে।
রংপুর রাইডার্স-বিএসজেএ মিডিয়া কাপের ফাইনালে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাহিম। সেখানে বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নিয়ে প্রত্যাশার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা বলা খুব কঠিন। কারণ শুধু আমরাই খেলবো না, অন্য দলগুলো খেলবে। তবে একটা বোধহয় ভালো দিক যে, খেলাটা যেখানে হচ্ছে সেই কন্ডিশনগুলো আমাদের জন্য খুব অপরিচিত না। আমরা ওখানে খেলেছি সবসময়। তা না হলেও আমরা মোটামুটি অনুমান করতে পারি কী ধরনের কন্ডিশনে খেলা হবে। সেটা আমাদের জন্য কিছুটা ইতিবাচক।’
ফাহিম এখনই ওত বড় প্রত্যাশার কথা শোনাতে রাজি নন। তিনি বলেন, ‘আশা করছি যে, প্রথম টার্গেট হবে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া। সেটা আমরা পারবো, আমি খুবই আশাবাদী। এরপর ধীরে ধীরে টুর্নামেন্টে আমরা কিভাবে নিজেদের অ্যাডজাস্ট করি আমাদের মানসিকতা কেমন থাকে, এটার উপর অনেকটা নির্ভর করবে। আমাদের এখন দলে বেশ কিছু খেলোয়াড় আছে, যারা ম্যাচ জেতাতে পারে। স্কিলফুল খেলোয়াড়ের সংখ্যা এখন অনেক বেড়েছে এবং সেটা একটা আশার কথা। যদি ওরা ঠিক ফর্মে থাকে মোমেন্টামটা ধরতে পারে, শুরুটা ভালো করতে পারে আমার মনে হয় আমরা যথেষ্ট আশাবাদী হতে পারি।’
বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের ৩ ম্যাচ কলকাতায় ও বাকি ১ ম্যাচ মুম্বাইয়ে। এই দুই ভেন্যুর উইকেট বিবেচনায় বিপিএলে কিউরেটরদের নির্দেশনে দেওয়া হবে কিনা? প্রশ্নে ফাহিম বলেন, ‘না, আমার মনে হয় যেখানেই খেলা হোক না কেন, টি-টোয়েন্টি সবখানেই বোধহয় ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটই হয়। আমরা বিশ্বকাপ না থাকলেও কিন্তু উদ্দেশ্য থাকতো যে, যতটা সম্ভব ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট করতে চাই এবং সেখানে যেন সুযোগ থাকে ১৮০ কিংবা ২০০ রান করার সুযোগ থাকে। করতে পারলো কিনা, সেটা অন্য ব্যাপার। কিন্তু উইকেটে যেন সেই সুযোগটা থাকে। সেরকমই করার চেষ্টা ডেফিনেটলি হবে।’
এসকেডি/এমএমআর