জাতীয়

সমর্থকদের কাছে নির্বাচনের খরচ চাইলেন তাসনিম জারা

জনগণের কাছে নির্বাচনের খরচ চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। এজন্য নিজের বিকাশ পার্সোনাল নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে সেটা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে জানাতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব লিখেছেন।

পোস্টে তাসনিম জারা লিখেন, নির্বাচনে একজন প্রার্থী আইনগতভাবে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ বা ভোটার প্রতি ১০ টাকা খরচ করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে শোনা যায় একেকজন একজন প্রার্থী ২০ থেকে ৫০ কোটি টাকা খরচ করেন। অথচ নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে বলেন মাত্র পঁচিশ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। ফলে প্রায় সকলের সংসদে যাওয়ার যাত্রাটা শুরু হয় আইন ভাঙা ও মিথ্যা বলার মাধ্যমে।

তিনি লিখেন, আমি এ অসততা ও মিথ্যার রাজনীতি করবো না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে, আইনে অনুমোদিত টাকার বাইরে আমি এক টাকাও খরচ করবো না। অনেকে বলেছেন, এত অল্প বাজেটে নির্বাচন করা অসম্ভব। আমি তাদের বলেছি, নতুন বাংলাদেশ গড়তে অন্য উপায় নেই।

জারা লিখেন, নির্বাচনের খরচ যখন ১০ কোটি বা ২০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় তখন সেই টাকা তোলার জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর চাঁদাবাজি আর টেন্ডারবাজি করাটা তাদের জন্য ‘বাধ্যতামূলক’ হয়ে দাঁড়ায়। এভাবেই রাজনীতিটা সাধারণ মানুষের হাত থেকে ছিনতাই হয়ে মুষ্টিমেয় কিছু সিন্ডিকেটের হাতে চলে যায়।

এ সংসদ সদস্য প্রার্থী আরও লিখেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী এ নির্বাচনে আমি মোট ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা ব্যয় করতে পারবো। আমি এ টাকাটা আপনাদের কাছ থেকে চাই।

এনসিপির এ নেত্রী লিখেন, আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিকাশ নম্বর দিচ্ছি। এগুলো একদম নতুন অ্যাকাউন্ট। কত টাকা আসছে আর কত খরচ হচ্ছে, প্রতিটি টাকার হিসাব আমি স্বচ্ছভাবে আপনাদের সামনে প্রকাশ করবো, প্রমাণসহ।

এনএস/আরএইচ