ভারতের কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি-হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের বামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর জোট বামফ্রন্ট। এসময় তারা বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সব হত্যার প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে উভয় দেশের ‘মৌলবাদ’ প্রতিরোধের ডাকও দেন বাম নেতারা।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে পার্ক সার্কাস থেকে একটি মিছিল নিয়ে ডেপুটি হাইকমিশনের দিকে আসেন বাম দলগুলোর নেতাকর্মীরা। এর আগে দুপুরে বিক্ষোভ করেছে ভারতের বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন।
বামফ্রন্টের এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সেলিম বলেন, আমরা প্রথম থেকে বলেছি, দিপু দাস একজন হিন্দু কিন্তু শ্রমজীবী মানুষ। রাজায়-রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। এখানে দাঁড়িয়ে আমরা সব হত্যার প্রতিবাদ জানাই। যারা হিন্দু-মুসলমান রাজনীতি করতে চায় তার বিরুদ্ধে আমাদের এই প্রতিবাদ।
তিনি বলেন, যে-কোনো দেশ, রাজ্য বা যে-কোনো স্থানে মৌলবাদী শক্তি বাড়লে তাই হয় যা আজকে বাংলাদেশে হচ্ছে। এর জন্য মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সরাসরি বিরোধিতা করতে হয়। যারা ধর্মের রুটি সেঁকে সাম্প্রদায়িকতার আগুন জ্বালিয়ে দেয়, তাদের বোঝাতে হবে আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশ আর তার থেকে পাকিস্তান-ভারত আলাদা নয়।
সিপিএমের এই নেতা আরও বলেন, ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করবেন না। ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত করবেন না। গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষতা শেষ হলে কী হয়, বাংলাদেশ তার বড় উদাহরণ।
এসময় সমরেশ চট্টোপাধ্যায় নামের এক নেতা বলেন, শুভেন্দু অধিকারীরা শুধু দিপু দাশ নিয়ে নাচছে। তারা একবারও বলছে না যে বিএনপির নেতার ছেলে-মেয়েটাকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলা করা। আমরা দুই দেশের মৌলবাদের বিরুদ্ধে আজকে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।
সিপিএম ছাড়াও ওই বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করে সিপিআই, আরএসপি ও সিপিএমএল, পিডিএস সহ বামফ্রন্টের সংগঠনগুলো।
ডিডি/কেএইচকে