দেশজুড়ে

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন, ময়মনসিংহে ৫০০ বাস প্রস্তুত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে গণসংবর্ধনায় যোগ দিতে ময়মনসিংহ জেলা থেকে প্রায় ৫০০ বাস প্রস্তুত রয়েছে। এসব বাসে করে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসবেন। এছাড়া প্রস্তুত রয়েছে ট্রেন। এরই মধ্যে অসংখ্য নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছেছেন। সবমিলিয়ে ময়মনসিংহ থেকে আনুমানিক ৫০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন।

স্থানীয় বিএনপি ও মোটর মালিক সমিতি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলার ১১টি সংসদীয় আসনের দলীয় প্রার্থী, মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। ট্রেন, বাস, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে যাতায়াতের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। শুধু ময়মনসিংহ মহানগর ও সদর আসন থেকে ধানের শীষের প্রার্থী আবু ওয়াহাব আকন্দের নেতৃত্বে ৫০টি বাসসহ মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার নেতাকর্মী তারেক রহমানকে বরণ করতে অংশ নেবেন। ঢাকায় যাতায়াতের জন্য মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ও যমুনা এক্সপ্রেসের টিকিট এরই মধ্যে নেতাকর্মীরা সংগ্রহ করেছেন। ১০টি বগি ও একটি পাওয়ারকারসহ একটি স্পেশাল ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. রোকনুজ্জামান সরকার রোকন বলেন, ভিড় এড়াতে অনেক নেতাকর্মী আগেভাগেই ঢাকায় চলে গেছেন। বাকিদের জন্য জেলা সদরসহ ৬টি উপজেলা থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক বাস ও অন্যান্য যানবাহনে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহ- ৪ (সদর) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ময়মনসিংহ বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বলেন, ২৫ ডিসেম্বর ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় মজলুম নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত। তারেক রহমানকে একনজর দেখতে নেতাকর্মীরা ঢাকায় যাওয়া নিশ্চিত করতে বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, ১০টি বগি ও একটি পাওয়ারকারসহ একটি স্পেশাল ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) এটি ময়মনসিংহ থেকে জামালপুর পাঠানো হবে। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর ভোর ৫টায় ট্রেনটি জামালপুর থেকে ছেড়ে ময়মনসিংহ হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে সকাল ৯টায় গন্তব্যে পৌঁছাবে। যাত্রাপথে সব স্টেশন থেকে নেতাকর্মীদের ওঠানো হবে। একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় ট্রেনটি ঢাকা থেকে জামালপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।

ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম বলেন, ওই দিন ময়মনসিংহ থেকে ৪ থেকে ৫ শত বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। সেদিন সারা দেশই হবে ঢাকামুখী। এতে দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে।

এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এরই মধ্যে সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছেছেন। এই জেলা থেকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। ট্রেন, বাস, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে যাতায়াতের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গণসংবর্ধনায় প্রায় কোটি মানুষের সমাগম ঘটবে। এই প্রত্যাবর্তন ঐতিহাসিক মিলনমেলায় রূপ নেবে। এটি দেশের কোটি কোটি মানুষের আবেগের জায়গা। দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন শেষে এই প্রত্যাবর্তন শুধু একজন মজলুম নেতার ঘরে ফেরা নয়, এটি ইতিহাসের ঘরে ফেরা।

দীর্ঘ দেড়যুগ পর দেশে পা রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এজন্য ঢাকার ৩০০ ফিটে গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে দলটি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৬৩ জেলা থেকেই ঢাকায় রওয়ানা দিচ্ছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। বিভিন্ন পরিবহনে করে ঢাকায় ছুটছেন তারা। দলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ট্রেনও রিজার্ভ করা হয়েছে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/এমআরএম