বলিউডের চিরতরুণ নায়ক অনিল কাপুর শুধু অভিনয়ের জন্যই নয়, ব্যক্তিগত ফিটনেস ও জীবনযাত্রার জন্যও পরিচিত। আজ ২৪ ডিসেম্বর তার জন্মদিনে আমরা মনোযোগ দিচ্ছি তার সেই লাইফস্টাইলে, যা তাকে ৬৮ বছর বয়সেও ৩০ বছরের মতো সতেজ, ফিট এবং উজ্জ্বল রেখেছে।
নিয়মিত ব্যায়াম ও শক্তিশালী রুটিনঅনিল কাপুরের ফিটনেসের মূল ভিত্তি হলো নিয়মিত ব্যায়াম। তিনি প্রতিদিন অন্তত এক-দেড় ঘণ্টা শরীরচর্চা করেন। তার রুটিনে থাকে কার্ডিও (দৌড়, সাইক্লিং), ভার উত্তোলন ও স্ট্রেংথ ট্রেনিং, যোগ ও প্রণায়াম- এই নিয়মিত ব্যায়াম শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে না, স্ট্যামিনা, মনোবল এবং শরীরের স্থিতিস্থাপকতাও বজায় রাখে।
সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঅনিল কাপুরের খাদ্যাভ্যাসও ফিটনেসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি বেশি প্রোটিন এবং হালকা কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করেন, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলেন, পর্যাপ্ত পানি পান, ফলমূল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করেন, কখনও কখনও ফাস্টিং বা লাইট ডায়েট পালন করেন- এই খাদ্যাভ্যাস তাকে দীর্ঘদিন ধরে সুস্থ রাখতে সাহায্য করছে।
মানসিক স্বাস্থ্য ও ধ্যানশুধু শারীরিক ফিটনেস নয়, অনিল কাপুর মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও সমান গুরুত্ব দেন। নিয়মিত ধ্যান এবং প্রাকৃতিক জীবনের সাথে সংযোগ তাকে মানসিক স্থিতিশীলতা দেয়। সিনেমার চাপের মধ্যেও তিনি মানসিকভাবে সতেজ থাকেন এবং নিজের জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখেন।
অনিল কাপুরের ফিটনেসের মূলমন্ত্র হলো নিয়মিত ব্যায়াম ও রুটিন মেনে চলা, সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক শান্তি ও ধ্যানের অভ্যাস, বয়সকে শুধুই সংখ্যা হিসেবে দেখা- এই চারটি উপাদান একসঙ্গে তার শরীরকে ৬৮ বছরেও ৩০ বছরের মতো তরুণ দেখাতে সাহায্য করছে।
অনিল কাপুরের জীবন ও ফিটনেস রুটিন প্রমাণ করে, বয়স কখনো সীমাবদ্ধতা নয়। সঠিক খাদ্য, ব্যায়াম, মানসিক স্বাস্থ্য এবং জীবনধারার দিকে সচেতন মনোযোগ দিয়ে যে কেউ সুস্থ ও সতেজ থাকতে পারে। আজকের দিনে আমরা শুধু অনিল কাপুরকে অভিনয়ের জন্যই নয়, একটি সুস্থ জীবনধারার উদাহরণ হিসেবে শ্রদ্ধা জানাই। ৬৮ বছরেও তরুণ, ফিট এবং ফ্যাশনেবল অনিল কাপুর সবার জন্য অনুপ্রেরণা।
জেএস/এএসএম