জাতীয়

আবাসন খাতের মন্দা স্থায়ী নয়, সুদিন ফিরবেই: রাজউক চেয়ারম্যান

দীর্ঘদিন ধরে আবাসন খাত নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসেছে উল্লেখ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম বলেছেন, এ খাতে বর্তমানে কিছুটা মন্দা থাকলেও এটি স্থায়ী নয়, সুদিন অবশ্যই ফিরে আসবে।

তিনি বলেন, একটি দেশ গড়ে তুলতে ভবন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তা ও নির্মাণকারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আবাসন খাতে নানা পেশাজীবী সংগঠন যুক্ত থাকলেও বাস্তবে ভবন নির্মাণের মূল দায়িত্ব উদ্যোক্তা ও নির্মাতাদেরই।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনব্যাপী আবাসন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাজউক চেয়ারম্যান।

রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আজ যদি কোনো প্লট মালিককে নিজের টাকায় বাড়ি নির্মাণ করতে বলা হয়, তাহলে ঢাকা শহরে কয়টি ভবন আদৌ তৈরি হতো—তা ভাবনার বিষয়।

ডেভেলপারদের বিষয়ে প্রচলিত ভুল ধারণার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেকে মনে করেন ডেভেলপাররা শুধু নিজেদের ব্যবসার কথা ভাবেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই ধারণা সঠিক নয়। হয়তো হাতে গোনা কয়েকজন ব্যতিক্রম থাকতে পারেন, তবে সবাই একটি সুন্দর, পরিকল্পিত ও নিয়মের মধ্যে গড়ে ওঠা শহরই চান।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও মিটার জব্দ নিয়ে ‘বদনাম’ হওয়ার কথা উল্লেখ করে রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমি কখনোই চাই না রাজউককে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হোক। যদি রাজউক ও নির্মাতারা সততা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেম নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে তাহলে এসবের প্রয়োজন পড়বে না।

তিনি আরও বলেন, লক্ষ্য শুধু ভবন নির্মাণ নয়, বরং পরিবেশবান্ধব ও বাসযোগ্য শহর গড়ে তোলা। গ্রিন বিল্ডিংয়ের ধারণা একদিনে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তবে ধাপে ধাপে এ জায়গায় যেতে হবে।

শহর পরিকল্পনার গুরুত্ব তুলে ধরে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, যে শহর বা ভবনে ফায়ার সার্ভিস বা অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না, সেই উন্নয়ন কোনো কাজে আসে না। এতে কিছু ব্যক্তি লাভবান হয়, কিন্তু দেশ বা সমাজের উপকার হয় না। এ ক্ষেত্রে প্রথম দায়বদ্ধতা রাজউকের, কারণ পরিকল্পনা অনুমোদন ও তদারকির দায়িত্ব আমাদের।

ড্যাপ গেজেট বাস্তবায়নে বাধার কথা উল্লেখ করে প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আপনারা একমত না হলেও শেষ পর্যন্ত সহযোগিতা করেছেন। তবে এই গেজেট চূড়ান্ত নয়—আপডেট ও সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। এ জন্য টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হবে।

ইএআর/এমএমকে/এএসএম