দেশজুড়ে

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: বিএনপির নেতাকর্মীদের লক্ষ্য ৩০০ ফিট

দীর্ঘ দেড়যুগ পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে পা রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এজন্য ঢাকার ৩০০ ফিটে গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে দলটি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৬৩ জেলা থেকেই ঢাকায় রওয়ানা দিচ্ছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। বিভিন্ন পরিবহনে করে ঢাকায় ছুটছেন তারা। দলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ট্রেনও রিজার্ভ করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

মাদারীপুর

তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে মাদারীপুর থেকে ৩০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। এজন্য আড়াই শতাধিক বাস ও অসংখ্য মাইক্রোবাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

মাদারীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও মাদারীপুর-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জাহান্দার আলী জাহান বলেন, ‌‘ঢাকা যাবার জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। পুরো জেলা থেকে দুইশোর বেশি গাড়ি ঢাকায় যাবে। তবে বর্তমানে গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। রাত ১২টার পর সব গাড়ি একত্রিত করে আমরা রওনা দেবো।’

ভোলা

ভোলার সাত উপজেলা থেকে যাচ্ছেন প্রায় এক লাখ নেতাকর্মী। এজন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ১০টি লঞ্চ। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রাইসুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে লঞ্চগুলো ঢাকার কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায় ভিড়বে। পরে সেখান থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ৩০০ ফিট এলাকায় পৌঁছাবেন।

বরগুনা

বরগুনা থেকে ৫০টি বাস ও একটি লঞ্চে করে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হচ্ছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। বরগুনা-১ আসন (বরগুনা সদর, আমতলী ও তালতলী) থেকে ২৫-৩০ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক ঢাকায় যাবেন। অন্যদিকে বরগুনা-২ আসন (পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী) থেকে আরও ১৫-২০ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হুমায়ুন হাসান শাহীন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বরগুনার মানুষের ভালোবাসা থেকেই বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায় যেতে আগ্রহী। তবে আগ্রহের তুলনায় যানবাহনের ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। একটি লঞ্চের পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলা থেকেই বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

কুমিল্লা

কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিণ এবং মহানগর বিএনপির দেড় লাখ নেতাকর্মী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এরই মধ্যে অনেক নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও ট্রেনে করে তারা ঢাকায় পৌঁছাবেন।

কুমিল্লা দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক জনশক্তির যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে কুমিল্লা থেকে বিভিন্ন গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়ের আগে যারা সংবর্ধনাস্থলে উপস্থিত হবেন, তাদের জন্য খাবার ও থাকার সুবিধাসহ তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

কুড়িগ্রাম

জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। বাস, প্রাইভেটকার ও ট্রেনে করে তারা ঢাকায় যাচ্ছেন। অনেকে আগেভাগেই ঢাকায় পৌঁছেছেন। বাকিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।

গাইবান্ধা

গাইবান্ধা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাচ্ছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুল জানান, এরইমধ্যে গাইবান্ধা থেকে ৫০টির মতো বাস ছেড়ে গেছে। আজ আরও ৫০টি বাস যাবে। সবমিলিয়ে পাঁচ শতাধিক বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ভাড়া করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জ থেকে যাচ্ছেন অর্ধলক্ষাধিক নেতাকর্মী। এরইমধ্যে অন্তত পাঁচ হাজার নেতাকর্মী ট্রেন, বাসযোগে ঢাকায় পৌঁছেছেন। বাকি নেতাকর্মীরা আজ রাতে রওয়ানা হবেন।

নাটোর

নাটোর থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, ১৩০টি বাস, দুইশোর মতো মাইক্রোবাস বুধবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে রওয়ানা হয়েছেন। আজ রাতে ট্রেনের পাঁচটি বগিতে আরও নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন।

শেরপুর

শেরপুরের তিনটি সংসদীয় আসন থেকে দেড়শ বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব বাসে করে নেতাকর্মীরা ঢাকায় যাবেন। তবে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও ট্রেনে করে এরইমধ্যে অসংখ্য নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছেছেন। সবমিলিয়ে শেরপুর থেকে আনুমানিক ১৫ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন।

এসআর