লাইফস্টাইল

লিপবাম কিংবা লিপগ্লস নয়, দীর্ঘস্থায়ী আর্দ্রতা দেবে লিপ অয়েল

শীতের মৌসুমে ঠোঁটের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ঠান্ডা আবহাওয়া, বাতাসে কম আর্দ্রতা ও ধুলাবালির প্রভাবে ঠোঁট সহজেই শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। অনেকের ঠোঁট ফেটে যায়। তাই শীতকালে ঠোঁটের সঠিক যত্ন নেওয়া শুধু সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য নয়, বরং ঠোঁটের ত্বককে সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ঠোঁটকে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় করে তুলতে সাধারণত লিপস্টিক, লিপবাম, লিপগ্লস কিংবা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা হয়। তবে মুখের তেল বা চুলের তেলের মতো লিপ অয়েলও ঠোঁটে আর্দ্রতা ধরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ঠোঁটের জন্য তৈরি বেশিরভাগ তেলই প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হওয়ায় তা ঠোঁট ফাটা কমাতে সাহায্য করে, ঠোঁটকে করে তোলে কোমল, মসৃণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

লিপ অয়েল কীঠোঁট আর্দ্র রাখতে বিশেষ ধরনের তেলসমৃদ্ধ প্রসাধনী হলো লিপ অয়েল। এটি ঠোঁটকে গভীর আর্দ্রতা প্রদান করে, নরম ও মসৃণ রাখে এবং লিপগ্লসের মতো চকচকে ও আকর্ষণীয় দেখায়, তবে চিটচিটে নয়। লিপ অয়েল লিপবামের চেয়ে বেশি গভীরে পুষ্টি জোগায় এবং লিপগ্লসের তুলনায় হালকা ও কম আঠালো হওয়ায় ঠোঁটকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও স্বাভাবিকভাবে সুন্দর দেখাতে সাহায্য করে।

লিপ অয়েলের উপকারিতাবাজারে বিভিন্ন সুগন্ধিযুক্ত ব্র্যান্ডের লিপ অয়েল পাওয়া যায়। এতে মধু, ভিটামিন ই, বি ওয়্যাক্স এবং নানা প্রাকৃতিক উপাদান থাকে, যা কালচে হয়ে যাওয়া ঠোঁটকে প্রাকৃতিকভাবে গোলাপি করে তোলে। লিপ অয়েল ঠোঁটের মৃত কোষ দূর করে, প্রাকৃতিক গ্লো ফিরিয়ে আনে এবং দীর্ঘ সময় ধরে আর্দ্রতা ধরে রাখে।

ধূমপান বা গরম চা-কফি পান করার ফলে অনেকের ঠোঁটে কালচে ছোপ পড়ে। রাতে শোবার আগে নিয়মিত লিপ অয়েল ব্যবহারে এই কালচে ছোপও কমে যায়। চাইলে লিপ অয়েল খুব সহজেই বাড়িতেই তৈরি করা যায়। দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেলের সঙ্গে এক বা দুইটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিলেই ঠোঁটের জন্য বিশেষ কার্যকর তেল তৈরি হয়ে যাবে।

ব্যবহার করবেন যেভাবে লিপস্টিক দেওয়ার আগে প্রাইমার হিসেবে বা লিপস্টিকের ওপর চকচকে গ্লস হিসেবে লিপ অয়েল ব্যবহার করা যায়। পার্টিতে উজ্জ্বল কোনো পোশাকের সঙ্গে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহারের পর লিপ অয়েল লাগানো যায়। চাইলে লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁটে লিপ অয়েল লাগানোও সম্ভব। তবে যেভাবেই ব্যবহার হোক না কেন, এটি ঠোঁটকে নরম ও কোমল রাখে।

এর কার্যকারিতা দীর্ঘস্থায়ী রাখতে নিয়মিত ঠোঁট পরিষ্কার রাখা এবং এক্সফোলিয়েশন করা জরুরি। ভেজা নরম ব্রাশ বা কাপড় দিয়ে আলতোভাবে ঠোঁটের মৃত চামড়া উঠিয়ে দিতে হবে। বাজারে বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিপ স্ক্রাব পাওয়া যায়, চাইলে সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে, অথবা ঘরেই চিনি ও লেবু দিয়ে সহজে লিপ স্ক্রাব তৈরি করা সম্ভব। সপ্তাহে অন্তত একবার স্ক্রাবিং করা উচিত, যাতে ঠোঁট সবসময় কোমল থাকবে।

সূত্র: গ্লো ফর ইট, দ্য বিউটি ক্রোপ

আরও পড়ুন:ঘরোয়া উপায়ে ঠোঁট গোলাপি রাখবেন যেভাবে নখ কাটার সময় যে ভু্ল বিপদ ডেকে আনতে পারে 

এসএকেওয়াই/