জাতীয়

অস্থায়ী খাবার হোটেলগুলোতে জমজমাট বেচাকেনা, খুশি নেতাকর্মীরাও

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকা ও কুড়িল বিশ্বরোডজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন।

সরেজমিনে কুড়িল বিশ্বরোড ফ্লাইওভারের নিচে ঘুরে দেখা যায়, নেতাকর্মীদের ভিড় ঘিরে সেখানে গড়ে উঠেছে শতাধিক অস্থায়ী খাবার হোটেল ও ফুডকোর্ট। তেহারি, খিচুড়ি, রুটি, পরোটা, ডিমভাজি থেকে শুরু করে চা, বাদাম ও চানাচুর—সব ধরনের খাবারেই ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। পুরো এলাকাটি যেন ভাসমান হোটেলে পরিণত হয়েছে।

পিরোজপুর থেকে আসা বিএনপি কর্মী মামুন জানান, ভোরেই তিনটি বাসে করে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছেছেন। সকালের নাশতা সেরে ব্যানার হাতে মিছিল নিয়ে মূল মঞ্চের দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

বরিশাল থেকে আসা বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান জানান, সকাল থেকেই তারা এলাকায় অবস্থান করছেন। সামনে মানুষের ঢল নামবে, তাই আগেভাগেই হালকা নাশতা সেরে নিচ্ছেন সবাই। অস্থায়ী হোটেলগুলোর খাবার পরিবেশন নিয়ে খুশি নেতাকর্মীরাও।

অস্থায়ী খাবার হোটেল বসানো আনিসুল জানান, তার স্থায়ী হোটেল খিলক্ষেতে হলেও আজকের জনসমাগম কেন্দ্র করে কুড়িল বিশ্বরোডে খাবার রান্না করে এনেছেন। সকাল থেকেই ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। মাত্র ১৫০ টাকায় তেহারি ও খিচুড়ি বিক্রি করছেন তিনি।

রুটি ও ভাপা পিঠা বিক্রেতা আনোয়ারা বেগম বলেন, সাধারণত রাতে দোকান করলেও আজ সকাল থেকেই নেতাকর্মীদের ভিড় থাকায় আগেভাগে এসেছেন। বিক্রি ভালো হওয়ায় তিনি খুশি।

তারেক রহমানের সংবর্ধনা ঘিরে লাখ লাখ মানুষের সমাগমের প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে গড়ে ওঠা অস্থায়ী খাবার হোটেলগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। এতে স্থানীয় দোকানিরাও সন্তুষ্ট।

ইএআর/এমকেআর/এএসএম