আন্তর্জাতিক

কম্বোডিয়ায় ঢুকে বিষ্ণুর মূর্তি গুঁড়িয়ে দিলেন থাই সেনারা, ভারতের তীব্র নিন্দা

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ঢুকে হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর একটি মূর্তি ভেঙে ফেলেছে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এই কাণ্ড ঘটান থাই সেনারা। আর ঘটনাটি সামনে আসতেই তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ভারত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার থাইল্যান্ডের সেনারা মূর্তিটি ভেঙে ফেলেন। যে এলাকায় মূর্তিটি স্থাপন করা ছিল, সেটি মূলত হিন্দু সম্প্রদায় অধ্যুষিত একটি এলাকা।

কম্বোডিয়ার প্রেহ ভিহের প্রদেশের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানিয়েছেন, ভাঙচুর করা মূর্তিটি সম্পূর্ণভাবে কম্বোডিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরে অবস্থিত। এটি একটি বিষ্ণু মূর্তি, যা ২০১৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। মূর্তিটির অবস্থান থাইল্যান্ডের সীমান্ত থেকে প্রায় ৩২৮ ফুট ভেতরে।

ডিসেম্বরের শুরু থেকে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে নতুন করে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এই সংঘর্ষে দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, বিষ্ণু মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ‘অত্যন্ত অসম্মানজনক’। এটি বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করে এবং এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

শান্তি আলোচনার মধ্যেই সীমান্তে নতুন সংঘর্ষ

এদিকে, শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা চলার মধ্যেই থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে নতুন করে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুই দেশই একে অপরের ওপর পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়।

থাইল্যান্ডের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী সিসাকেত ও সুরিন প্রদেশে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। থাই গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রথমে কম্বোডিয়া বিএম-২১ রকেট ব্যবহার করে হামলা চালায়। এর জবাবে থাই সেনারা কামান, ট্যাংক ও ড্রোন ব্যবহার করে পাল্টা আক্রমণ চালান।

এই সংঘর্ষে সিসাকেত প্রদেশে এক থাই সেনা আহত হয়েছেন। থাই সেনাবাহিনীর দাবি, তারা কম্বোডিয়ার মোট ১৯টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।

গত ৭ ডিসেম্বর থেকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন ও কয়েক লাখ মানুষ নিজ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

সূত্র: এএফপি

এসএএইচ