দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার (ফ্লাইট নম্বর ২০২)-এর পাইলট ইন কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দেশের দক্ষ ও অভিজ্ঞ বৈমানিক, মেহেরপুরের কৃতী সন্তান ক্যাপ্টেন ইমামুল ইসলাম ইমন।
ক্যাপ্টেন ইমনের সঙ্গে সহকারী পাইলট হিসেবে ছিলেন আরও দুই অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন রাশেদিন ও আসিফ ইকবাল। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একাধিক সূত্র জানায়, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে অভিজ্ঞ ও সিনিয়র পাইলটদের সমন্বয়েই এই ফ্লাইট ক্রু গঠন করা হয়।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৬টা) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে ফ্লাইটটি। সফরসঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে ছিলেন সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান এবং তাদের আদরের পোষা বিড়াল ‘জেবু’।
সফল ও নিরাপদ অবতরণের পর যাত্রীদের সকল মালামাল বুঝিয়ে দেন ক্যাপ্টেন ইমন। এ সময় তারেক রহমান ক্যাপ্টেন ইমনকে ডেকে হ্যান্ডশেক করেন এবং আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
ক্যাপ্টেন ইমামুল ইসলাম ইমন মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি মেহেরপুরের প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তার বাবা জেলার খ্যাতনামা পাট ও পরিবহন ব্যবসায়ী; মেহেরপুর–ঢাকা রুটে চলাচলকারী প্রথম পরিবহন ‘ফাইবার্স পরিবহন’-এর উদ্যোক্তাও ছিলেন সিরাজুল ইসলাম।
বিষয়টি সামনে আসতেই মেহেরপুরের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ক্যাপ্টেন ইমনকে নিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের বন্যা বইছে। গর্বিত জেলাবাসীর কাছে দেশের আকাশে দায়িত্বশীল এই দক্ষ বৈমানিক আজ অনুপ্রেরণার নাম।
আসিফ ইকবাল/এমআরএম