শীতে গরম কাপড়ের প্রতি আলাদা টান। আরামদায়ক উষ্ণতা ও নান্দনিক কারুকাজের মেলবন্ধনে শাল বা চাদর প্রতি শীতেই থাকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। এর মধ্যে পশমিনা শাল আলাদা দৃষ্টিনন্দন ও বিলাসী হিসাবে বিবেচিত। হালকা, নরম এবং গরম-এই গুণগুলোর জন্যই পশমিনা শালকে বলা হয় ঐতিহ্য ও বিলাসিতার প্রতীক। কিন্তু বাজারে নকল পশমিনার রমরমা থাকার কারণে আসল পশমিনা শাল চেনাও জরুরি।
১. দামের দিকে নজর দিনআসল পশমিনা শাল কখনো সস্তা হয় না। কাশ্মীরের চাংথাঙ্গি ছাগলের সূক্ষ্ম পশম দিয়ে তৈরি শাল বানাতে সময় ও পরিশ্রম লাগে। তাই অস্বাভাবিক কম দামে শাল থাকলে সতর্ক হওয়া ভালো।
২. নমনীয়তা ও অনুভূতিপশমিনা শালের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর সূক্ষ্ম কোমলতা। আলতো হাত বুলিয়ে দেখলেই পাখির পালকের মতো হালকা অনুভূতি পাওয়া যায়, সঙ্গে পুরো পৃষ্ঠে মসৃণতা উপস্থিতি থাকে। অন্যদিকে, সিন্থেটিক বা মিশ্রিত উপাদানের শাল সাধারণত মোটা, অমসৃণ এবং তুলনামূলকভাবে কম নমনীয় হয়।
৩. তাপমাত্রা ও স্পর্শআসল পশমিনা তুলার মতো নরম, কিন্তু পিছল নয়। হাতের উষ্ণতায় ধীরে ধীরে গরম হয়ে ওঠে। নকল বা মেশিন-মেড শাল সাধারণত খুব মসৃণ বা ঠান্ডা মনে হয়।
৪. রিং টেস্ট করে রিং টেস্ট একটি পরিচিত পদ্ধতি। আসল পশমিনা শাল সহজেই একটি আংটির ভেতর দিয়ে চলে যায়, কারণ এর তন্তু অত্যন্ত সূক্ষ্ম। তবে খুব ঘন বুননের শালে এই পরীক্ষা পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য নাও হতে পারে।
৫. বুননের ধরন দেখুনআসল পশমিনা সাধারণত হাতে বোনা হয়। সূক্ষ্ম ও সামান্য অসম বুনন চোখে পড়তে পারে। একদম নিখুঁত বুনন থাকলে বুঝতে হবে এটি মেশিনে তৈরি।
৬. আগুনে পরীক্ষা করুন অন্য পরীক্ষার পরে সন্দেহ থাকলে সতর্কতার সঙ্গে শাল থেকে একটি ছোট সুতা টেনে আগুনে পোড়ান। প্রকৃত পশমিনা পোড়ার সময় চুল পোড়ার মতো গন্ধ ছড়াবে এবং সূক্ষ্ম সুতাটি ধীরে ধীরে গুঁড়া ছাইতে পরিণত হবে। অন্যদিকে সিন্থেটিক ফাইবারগুলো গলে যাবে এবং প্লাস্টিকের মতো গন্ধ বের হবে।
শাল কেনার সময় কিছুটা সতর্ক থাকলে শুধু শীতের হাত থেকেই নয়, প্রতারণার হাত থেকেও নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব।
সূত্র: গ্লোবাল টেক্সটাইল সোর্স, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও পড়ুন:সুতি কাপড় পরার উপকারিতা বিয়েতে লাল শাড়ি কেনার সময় যেসব বিষয় মাথায় রাখবেন
এসএকেওয়াই/