গাজীপুর মহানগরীর গাছায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আরিফুল ইসলাম নামের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ খাইলকুর এলাকার শ্রম কল্যাণ স্কুলের এ ঘটনা ঘটে। বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পরপরই এ অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্কুল প্রাঙ্গণ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় জনতা একত্রিত হয়ে প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে উত্তেজিত জনতার কারণে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। এতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
অভিভাবকরা অভিযোগ করে জানান, শিক্ষক আরিফুল ইসলাম নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন। সেই প্রভাব কাজে লাগিয়ে তিনি স্কুলে স্বেচ্ছাচারিতা চালানোর পাশাপাশি একাধিক মেয়ে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। ভয়ে এতদিন কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, হান্নান গ্রুপের মালিক সামছুদ্দিন দক্ষিণ খাইলকুর এলাকায় প্রায় আড়াই বিঘা আয়তনের একটি সরকারি খাস পুকুর ভরাট করে দখল করেন। সেই দখলকৃত জমিতেই শ্রম কল্যাণ নামে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
এ বিষয়ে গাছা থানার ওসি মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মো. আমিনুল ইসলাম/কেএইচকে/এএসএম