নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের মনোনয়ন পাওয়ায় জমিয়তে উলামা ইসলামের জেলা কমিটির সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর বিপরীতে বিএনপির ৫ নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ পাঁচ নেতা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা কমান্ডের আহ্বায়ক ও বিএনপির সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম টিটু। এরা সবাই বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
এর আগে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারটি আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। গত ২৬ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তার নাম ঘোষণার পর থেকে মনির হোসাইন কাসেমীর অনুসারীদের মধ্যে বইছে উল্লাস। বিপরীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা হতাশা দেখা দিয়েছে।
জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, আমরা দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। আশা করি দল আমাদের নিরাশ করবে না। আমি যেহেতু দলের জন্য কাজ করছি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গেছি। ফতুল্লা জনসাধারণ আমাকে চাচ্ছেন। কিন্তু দলের বাইরে গিয়ে কোনো কাজ করতে পারবো না। তারপরও জনগণ যেহেতু আমাকে চাচ্ছেন তাদের বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে দলকে পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলম বলেন, দল যেটা ভালো মনে করেছে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা দলের বিষয়। তবে মাঠের জরিপ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে আমি নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিবো।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/আরএইচ/এএসএম