মাগুরায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ফলে জমজমাট হয়ে উঠেছে ফুটপাতের সোয়েটার, জ্যাকেট, গরম কাপড় বিক্রি। শহর এবং শহরতলী থেকে আসা মানুষ খুঁজছে তাদের পছন্দ শীত বস্ত্র।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার সময় মাগুরা সদর থানার সামনে এমন দৃশ্য দেখা যায়। নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য এই ফুটপাতের গরম কাপড় খুবই কম দামে কিনতে পারছে।
বিক্রেতা মো. রাসেল বলেন, আমরা প্রতিবছর চট্টগ্রাম থেকে বেল কিনে আনি, সোয়েটারের বেল ১১-১২ হাজার টাকা এবং জ্যাকেটের বেল ১৬-২০ হাজার টাকা দামে কিনতে হয়। এই ব্যবসা মাত্র শীতের ৩ মাস চলে অন্য সময় এই ব্যবসা চলে না। যত বেশি বিক্রি হয় ততবেশি লাভ। শীত বাড়ার কারণে দিনভর ভিড় হচ্ছে, বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতা এনায়েত হোসেন বলেন, শীতকালে বিক্রি হওয়া প্রধান জিনিসগুলো হলো সোয়েটার, জ্যাকেট, কোট, টুপি, গ্লাভস, উলের মোজা এবং গরম কাপড়। এই পণ্যগুলো হাট-বাজার, ফুটপাত বা অনলাইনে বিক্রি করা যায়। এখানে এক পিস ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০টা বিক্রি হয় তবে ঠান্ডা কম বেশির ওপর নির্ভর করে। আজ ৭ থেকে ৮ দিন তুমুল ঠান্ডার কারণে বিক্রি অনেকটা বেড়েছে বলে আমরা আনন্দিত।
বিক্রেতা তরিকুল ইসলাম বলেন, বেলের জ্যাকেটর ক্রয়মূল্যে সর্বনিম্ন আট হাজার থেকে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত। জ্যাকেটের কোয়ালিটির ওপর দাম নির্ভর করে। প্রতি বেলে ১৮০ পিস জ্যাকেট থাকে। তবে বেলে ১৮০ পিস লেখা থাকলেও বিভিন্ন চালানে কখনো ১২০, ১৪০ ও ১৬০ পিস থাকে।
এদিকে হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনেও জেলার প্রধান ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
রিকশাচালক আলী হোসেন বলেন, তীব্র শীতে রিকশা নিয়ে বের হতে পারছি না। পরিবার পরিজনের কথা চিন্তা করে সড়কে তীব্র শীত উপেক্ষা করে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। সকালে তেমন যাত্রী পাওয়া যায় না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সড়কে কিছু লোক বের হলেও রিকশায় উঠতে চায় না।
মো. মিনারুল ইসলাম জুয়েল/এনএইচআর/এমএস