রুনা খান মানেই পরিমিত রুচি, দেশি ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসা আর স্বতঃস্ফূর্ত সৌন্দর্যের প্রকাশ। তাকে ‘জামদানি-লাভার’ বলা হলে তা মোটেও বাড়াবাড়ি নয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও বিশেষ দিনে বারবারই তিনি প্রমাণ করেছেন জামদানি তার কাছে কেবল একটি পোশাক নয়, বরং এক ধরনের অনুভব। এবারে সেই অনুভবই আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল সমুদ্র-নীল রঙের এক রিফ্রেশিং জামদানিতে।
সমুদ্রের নীলাভ প্রশান্তি আর জামদানির সূক্ষ্ম বুনন এই দুইয়ের মেলবন্ধনে রুনা খানের লুক ছিল চোখ জুড়ানো।
ক্ল্যাসিক ড্রেপে জড়ানো এই ট্র্যাডিশনাল বিস্ময়বস্ত্রে তিনি যেন একেবারে স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই তুলে ধরেছেন বাঙালিয়ানা সৌন্দর্য।
শাড়িটির সোনালি নকশার বুননে কোথাও কোথাও গোলাপির হালকা ছোঁয়া যোগ করেছে বাড়তি মাত্রা, যা পুরো লুককে করেছে আরও প্রাণবন্ত।
শাড়ির সঙ্গে দারুণ ফিটিংয়ের ম্যাচিং ব্লাউজ পরেছেন তিনি, যার পরিমিত আবেদনে লুকটি পেয়েছে এলিগ্যান্ট ভারসাম্য।
বিশেষভাবে নজর কাড়ে আঁচলের নকশার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যুক্ত করা ট্যাসেল। ছোট্ট এই ডিটেইলই পুরো শাড়িটিকে এনে দিয়েছে আলাদা আকর্ষণ।
সাজের ক্ষেত্রেও রুনা খান বরাবরের মতোই রেখেছেন মিনিমাল ছোঁয়া। ছোট লাল টিপ, ন্যুড গোলাপি লিপকালার আর হালকা মেকআপে তার মুখে ফুটে উঠেছে স্বাভাবিক দীপ্তি। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় এই সুন্দর সাজ তিনি নিজ হাতেই সেরেছেন, যা তার ব্যক্তিত্বের আত্মবিশ্বাসী দিকটিকেই তুলে ধরে।
চুলে ছিমছাম আপডু হেয়ারস্টাইল, দুই পাশে নরম স্ট্র্যান্ডস আর সাদা ফুলের সংযোজন সব মিলিয়ে ন্যাচারাল সৌন্দর্য যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অ্যান্টিক ফিনিশের ঝোলানো দুল আর আংটি এই লুকে যোগ করেছে ট্র্যাডিশনাল এলিগ্যান্সের নিখুঁত শেষ টান।
সমুদ্র-নীল জামদানিতে চিরচেনা হাসি নিয়ে রুনা খান আবারও প্রমাণ করলেন ফ্যাশন মানে বাড়তি জাঁকজমক নয়, বরং নিজের রুচি ও স্বকীয়তাকে সহজভাবে তুলে ধরাই আসল স্টাইল।
জেএস/