ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে শেষ মুহূর্তে জমজমাট হয়ে উঠেছে ঢাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকা অনেকটা জনশূন্য থাকলেও বিকেল গড়াতেই চিত্র পুরোপুরি বদলে যায়।
নির্ধারিত সময় ৫টা বাজার আগে ঢাকা-১, ২, ৩, ১৯ ও ২০ আসনের প্রার্থীরা তাদের সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে ভিড় করেন।
এদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকার এই ৫টি আসনের কোনো প্রার্থীই মনোনয়নপত্র জমা না দিলেও দুপুরের পর থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একে একে প্রার্থীরা আসতে শুরু করেন। শেষ সময়ে বড় বড় রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উপস্থিতিতে কার্যালয় প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। প্রার্থীরা তাদের প্রস্তাবক ও সমর্থকদের নিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-১, ঢাকা-২, ঢাকা-৩, ঢাকা-১৯ ও ঢাকা-২০ আসনে মোট ৬২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। শেষ সময়ের তথ্যানুযায়ী, এই আসনগুলোর অধিকাংশ প্রার্থীই আজ বিকেলের মধ্যে তাদের মনোনয়নপত্র জমা নিশ্চিত করেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাইরে নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী মিছিল বা শোডাউন নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন না। একজন প্রার্থীর সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ জন সমর্থক আসতে পারবেন। এই নিয়ম ভঙ্গ করলে প্রার্থিতা বাতিলসহ ৬ মাসের জেল অথবা দেড় লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। বর্তমানে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বাছাই প্রক্রিয়া। বাছাইয়ে বাদ পড়া প্রার্থীদের আপিল গ্রহণ ও নিষ্পত্তি করা হবে ৫ থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে। নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর শেষ সময় বা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ জানুয়ারি। এর পরদিন অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে এবং চূড়ান্তভাবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত এই সংসদ নির্বাচন।
এবারের নির্বাচনে একজন প্রার্থী ভোটার প্রতি গড়ে সর্বোচ্চ ১০ টাকা নির্বাচনি ব্যয় করতে পারবেন। আজকের নির্ধারিত সময়ের পর আর কোনো মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এমডিএএ/ইএ/এএসএম