আইন-আদালত

প্রধান আসামির আশ্রয়দাতা আহসান ৫ দিনের রিমান্ডে

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার আহসান উল্লাহর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম সোহাগ এ আদেশ দেন।

পুলিশের তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, হাসনাবাদ এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটা উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার পরিচালক ও মামলার প্রধান আসামি পলাতক আল আমিনের সঙ্গে আহসানের আগে থেকেই পরিচয় ছিল। যার সূত্রপাত হয়েছিল কারাগারে থাকাকালীন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর বিস্ফোরণের ঘটনার পর আল আমিন পালিয়ে সরাসরি আহসানের কাছে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে কয়েক ঘণ্টা অবস্থানকালে আহসানের মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই আল আমিন তার বোনকে ফোন দিয়েছিলেন।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ডেমরা এলাকার সাইনবোর্ড থেকে আহসানকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ধারণা, আসামিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। প্রধান আসামির বর্তমান অবস্থান এবং বিস্ফোরক চক্রের বাকি সদস্যদের হদিস পেতে আহসানকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড অনুমোদন করেন। যদিও শুনানিকালে আসামি নিজেকে কেবল একজন হকার উল্লেখ করে নির্দোষ বলে দাবি করেন।

কেরানীগঞ্জের ওই মাদ্রাসায় বোমা তৈরির সরঞ্জাম থেকে ঘটা বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার আল আমিনের স্ত্রীসহ ছয়জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তারা হলেন শাহিন ওরফে আবু বক্কর, আমিনুর ওরফে দর্জি আমিন ও শাফিয়ান রহমান ফকির এবং আছিয়া বেগম, ইয়াসমিন আক্তার ও আসমানী খাতুন। আদালত পুরুষদের জন্য সাতদিন ও নারীদের জন্য তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঘটনার পরদিন শনিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় আল আমিনসহ আরও কয়েকজন এখনো পলাতক রয়েছেন।

এমডিএএ/একিউএফ