আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমার সময় শেষ হয়েছে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায়। নির্ধারিত সময়ে নোয়াখালীর ছয়টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬২ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে দলীয় ৪৭ জন ও স্বতন্ত্র ১৫ জন প্রার্থী হয়েছেন।
জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জেলার ছয়টি আসনে বিএনপির ৬ জন, জামায়াতের ৬ জন, ইনসানিয়াত বিপ্লবের ৩ জন, জাতীয় পার্টির ৫ জন, জাতীয় পার্টির (জাপা) একজন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের একজন, সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৫ জন, ইসলামি আন্দোলনের ৬ জন, রিপাবলিকান পার্টির একজন, এলডিপির একজন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুইজন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) একজন, খেলাফত মজলিসের ৩ জন, সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) দুইজন, গণঅধিকার পরিষদের দুইজন, ইসলামি ফ্রন্টের একজন ও জনতার দলের একজন ছাড়াও স্বতন্ত্র ১৫ জন প্রার্থী হয়েছেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, নোয়াখালী-১ আসনে দলীয় ৭ জন ও স্বতন্ত্র একজন, নোয়াখালী-২ আসনে দলীয় ৭ জন ও স্বতন্ত্র তিনজন, নোয়াখালী-৩ আসনে দলীয় ৫ জন ও স্বতন্ত্র দুইজন, নোয়াখালী-৪ আসনে দলীয় ৭ জন ও স্বতন্ত্র একজন, নোয়াখালী-৫ আসনে দলীয় ১১ জন ও স্বতন্ত্র চারজন এবং নোয়াখালী-৬ আসনে ১০ জন দলীয় ও চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
নোয়াখালী-১ আসনে আটজন প্রার্থী হয়েছেন। এরা হলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের মো. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মমিনুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মো. নুরুল আমিন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) রেহানা বেগম, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মো. ছাইফ উল্যাহ, স্বতন্ত্র মুহাম্মদ ইফতেখার উদ্দিন।
নোয়াখালী-২ আসনে ১০ জন প্রার্থী হয়েছেন। এরা হলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জয়নুল আবদিন ফারুক, জাতীয় পার্টির মো. শাহাদাৎ হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের তোফাজ্জল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) মো. মোশারেফ হোসেন মন্টু, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের খলিলুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া মজুনদার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাইয়েদ আহমদ ও স্বতন্ত্র সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কাজী মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ।
নোয়াখালী-৩ আসনে সাতজন প্রার্থী হয়েছেন। এরা হলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মো. বরকত উল্লাহ বুলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) মো. সিরাজ মিয়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মো. বোরহান উদ্দিন, খেলাফত মজলিসের মোরশেদ আলম, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ নুর উদ্দিন ও স্বতন্ত্র মো. রাজিব উদদৌলা চৌধুরী, শরীফ আহমেদ।
নোয়াখালী-৪ আসনে আটজন প্রার্থী হয়েছেন। এরা হলেন, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের মো. ইউনুস নবী, জাতীয় পার্টির মো. শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মো. শাহজাহান, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের মো. ফিরোজ আলম মাসুদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মো. ইসহাক খন্দকার, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) বিটুল চন্দ্র তালুকদার, গণঅধিকার পরিষদের আবদুজ জাহের ও স্বতন্ত্র মোহাম্মদ ইস্তেয়াক হোসেন।
নোয়াখালী-৫ আসনে ১৫ জন প্রার্থী হয়েছেন। এরা হলেন, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলর (জেএসডি) কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আবু নাছের, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) মুন তাহার বেগম, জনতার দলর শওকত হোসেন, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির (বিআরপি) মোহাম্মদ আনিছুল হক, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশর তৌহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি খাজা তানভীর আহাম্মদ, খেলাফত মজলিসের আলী আহমদ ও স্বতন্ত্র হাসনা জসীম উদ্দীন মওদুদ, ওমর আলী, মুহাম্মদ ইউনুছ, মোহাম্মদ নওশাদ।
নোয়াখালী-৬ আসনে ১৪ জন প্রার্থী হয়েছেন। এরা হলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মাহবুবের রহমান শামীম, জাতীয় পার্টির এ টি এম নাবী উল্যাহ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আবদুল হান্নান মাসউদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) মোহাম্মদ আবদুল মোতালেব, গণঅধিকার পরিষদের মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, জাতীয় পার্টির নাছিম উদ্দিন মো. বায়েজীদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম শরীফ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মোহাম্মদ আবুল হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক ও স্বতন্ত্র তানবীর উদ্দিন রাজিব, মোহাম্মদ ফজলুল আজিম, শামীমা আজিম, মুহাম্মদ নুরুল আমীন।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসব মনোয়নয়নপত্র যাচাইবাছাই করা হবে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এমএন