রাজনীতি

অভিভাবক হারালেন তারেক রহমান

কদিন হলো দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মা বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন তিনি। দাপ্তরিক কাজ শেষে মঙ্গলবার রাতেও ছুটে যান এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার খোঁজ-খবর নিতে। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় মারা যান খালেদা জিয়া। জীবনের কঠিন সময়ে কাছে থাকা মাকে হারালেন তারেক রহমান। মাথার ওপর ছাদ হয়ে থাকা একজন অভিভাবককে হারালেন তিনি।

মঙ্গলবার ঘনকুয়াশার মধ্যে সকালে দেশবাসীর কাছে খবর আসে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আর নেই। তার মৃত্যুতে শোকাহত গোটা দেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার জানাজার দিন বুধবার সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, বিএনপি ৭ দিনের শোক পালন করার ঘোষণা দিয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ নয়াপল্টনে প্রধান কার্যালয়ে কোরআন খতম দেওয়া হচ্ছে।

গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দুপুরে জরুরি সভা ডাকা হয়। সেখানে উপস্থিত হন তারেক রহমান।

খালেদা জিয়ার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, দেশের জন্য তিনি হারিয়েছেন স্বামী, হারিয়েছেন সন্তান। তাই এই দেশ, এই দেশের মানুষই ছিল তার পরিবার, তার সত্তা, তার অস্তিত্ব।

তারেক রহমান লিখেছেন, ‘আমার মা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’

তিনি বলেন, ‘অনেকের কাছে তিনি ছিলেন দেশনেত্রী, আপসহীন নেত্রী, অনেকের কাছে গণতন্ত্রের মা, বাংলাদেশের মা। আজ দেশ গভীরভাবে শোকাহত এমন একজন পথপ্রদর্শককে হারিয়ে, যিনি দেশের গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় অনিঃশেষ ভূমিকা রেখেছেন।’

তারেক রহমান বলেন, ‘ত্যাগ ও সংগ্রামে ভাস্বর হয়েও, তিনি ছিলেন পরিবারের সত্যিকারের অভিভাবক; এমন একজন আলোকবর্তিকা যার অপরিসীম ভালোবাসা আমাদের সবচেয়ে কঠিন সময়েও শক্তি ও প্রেরণা জুগিয়েছে। তিনি বারবার গ্রেফতার হয়েছেন, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, সর্বোচ্চ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তবুও যন্ত্রণা, একাকিত্ব ও অনিশ্চয়তার মধ্যে থেকেও তিনি অদম্য সাহস, সহানুভূতি ও দেশপ্রেম সঞ্চার করেছিলেন পরিবারের প্রতিটি সদস্যের মাঝে।’

এসএনআর/এমএস