চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে খামারির হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১২টি গরু ট্রাকবোঝাই করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের নুরুল হক মঞ্জিলের বাড়ি এলাকায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি মোহাম্মদ ইসমাইল ও তার ভাইপো নজরুল ইসলাম জানান, গভীর রাতে ডাকাতরা খামারের দরজা খোলার সময় বাছুরগুলো চিৎকার শুরু করলে ইসমাইলের ঘুম ভেঙে যায়। তিনি উঠে দাঁড়াতেই দুজন মুখোশধারী ডাকাত তার দুই পাশে রাইফেল তাক করে ধরে। ডাকাতদের সবার মাথায় মাংকি টুপি ও হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল।
ইসমাইল বলেন, ডাকাতরা তাদের সঙ্গে থাকা বেল্ট দিয়ে আমার হাত পেছন থেকে বেঁধে ফেলে। এরপর খামারের সামনে একটি বড় ট্রাক এনে ৫টি দুগ্ধবতী গাভীসহ ছোট-বড় ১২টি গরু ট্রাকে তুলে নেয়। যাওয়ার সময় তারা আমাকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। গরুগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
একের পর এক গরু লুটের ঘটনায় সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ইউনিয়নে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত হলেই ডাকাত আতঙ্ক বাড়ছে, অথচ পুলিশ নেপথ্যে থাকা ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারছে না। গত ১৯ ডিসেম্বরও ভাটিয়ারী এলাকায় একইভাবে জিম্মি করে ২৮টি গরু লুট করা হয়েছিল, যার ২৬টি পরে জিপিএস ট্র্যাকারের সাহায্যে উদ্ধার করা হলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী খামারি ইসমাইল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ১২টি গরু উদ্ধারে পুলিশ জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে চলতি মাসের (১৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভাটিয়ারী এলাকায় ব্যবসায়ী ও চালকসহ ৬ জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে গরু লুট করে নিয়ে যায়। গরুগুলো সিরাজগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম আনোয়ার সরকার হাট বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় মুখোশধারী ডাকাতদের কবলে পড়ে এই ব্যবসায়ীরা। পরে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ট্রাকটিতে জিপিএইচ ট্র্যাকার থাকায়, পরদিন বড় ২৮ গরুর মধ্যে ২৬ টি গরু বাড়বকুণ্ড এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে উদ্ধার হয়নি ২ টি গরু।
এম মাঈন উদ্দিন/কেএইচকে/এএসএম