ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ ও ৬ আসনে ভিন্ন পরিচয়ে অংশ নিচ্ছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের তিন নেতা। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দেন তারা।
তারা হলেন টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে তারেক শামস খান হিমু ও ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম এবং টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে অ্যাডভোকেট ইলিয়াস হোসেন মনি।
টাঙ্গাইল-৬ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া তারেক শামস খান হিমু টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি জাতীয় পার্টির (জেপি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তারেক শামস খান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ তেবাড়িয়া গ্রামের মৃত হুমায়ুন হোসেন খানের ছেলে। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আশরাফুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি টাঙ্গাইল-৬ আসনের দেলদুয়ার উপজেলার কাতুলী গ্রামের মুহাম্মদ মজনু মিয়ার ছেলে। তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী কমিটির সদস্য এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন আমি আগেই করে ফেলেছি। এখন অনেকটা ফ্রি সময় কাটাচ্ছি। মা-খালা, বোন-ভাবিদের কাছে গিয়েছি। তাদের সমস্যার কথা শুনেছি। তাদের সমস্যা সমাধান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করবো। আমি তাদের কাছ থেকেই সই নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমার মনোনয়নের সঙ্গে চার হাজার ৯০১ জনের সই নিয়ে জমা দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ২০১৮ সালে মনোনয়ন চেয়েও পাইনি। ২০২৪ সালে মনোনয়ন চাইনি কিন্তু স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছি। এবারও তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। নারী-পুরুষের ভালোবাসার ভোটই আমাকে বিজয়ী করবে।’
টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন অ্যাডভোকেট ইলিয়াস হোসেন মনি। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদের নেতা ছিলেন। গত ১৩ নভেম্বর জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন।
ইলিয়াস হোসেন ধনবাড়ী উপজেলার নরিল্যা গ্রামের মরহুম তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
এ বিষয়ে ইলিয়াস হোসেন মনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগে সক্রিয় বা পদধারী নেতা ছিলাম না। তবে টাঙ্গাইল বারে সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমি জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।’
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, জেলার আটটি আসনে ৮৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিয়েছেন ৬৫ জন। জেলায় মোট ভোটার ৩৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৭ জন।
আব্দুল্লাহ আল নোমান/এসআর/জেআইএম