বাংলা একাডেমিতে প্রতি বছরই হয় বাঙালি জাতির ঐতিহ্যের বইমেলা। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমদিন থেকে মেলা শুরু হলেও এর প্রচার-প্রচারণা চলে জানুয়ারি থেকেই। একইভাবে এ বছর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে ইসলামি বইমেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন। মেলা শুরু হওয়ার আটদিন পরও প্রচারণার অভাবে জমছে না মেলা। সোমবার সরেজমিনে মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।জনসমাগমের বিষয়ে মেলার ২২ ও ২৩ নম্বর এমদাদিয়া স্টলের বিক্রয়কর্মী মো. নাসির উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘মেলার জন্য কোনো প্রচার হয়নি অথচ এক মাসের জন্য বিক্রি করে রেখেছে। এটা কোনো মেলা হতে পারে?’ বই বিক্রির বিষয়ে নাসির বলেন, ‘বিক্রি মোটামুটি, তেমন সাড়া পাইনি। আপনারা দয়া করে মেলার প্রচার করুন।’মেলায় মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) সহ অন্যান্য নবী-রাসুলদের জীবনীর বই রয়েছে। আল-কুরআন, হাদিস শরিফ, ইসলামের ইতিহাস, মহানবীর দৈনন্দিন জীবন, পছন্দ-অপছন্দ, জান্নাত-জাহান্নাম নিয়ে বইও পাওয়া যাচ্ছে।বিক্রেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী সেরা বিক্রির তালিকায় রয়েছে হাদিস শরিফ, নসিম হিজাগির ‘মরণজয়ী’, এম এন হাবিব উল্লাহ’র ‘রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস’।মেলার ১ থেকে ৫ নম্বর স্টলটি হচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের। মেলার আয়োজক এই প্রতিষ্ঠানটির স্টলে পাওয়া যাচ্ছে ‘ইসলামের প্রচার ও প্রসারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’, ‘দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম’, হজ-উমরাহ জিয়ারত ছাড়াও প্রায় শতাধিক বই। মেলার কয়েকটি স্টলে পাওয়া যাচ্ছে জাকির নায়াকের লেকচার ও প্রশ্ন উত্তরের বই।বই বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে মেধা পাবলিকেশন্সের বিক্রয়কর্মী আতাউর রহমান সুমন বলেন, মেলা হিসেবে বেচাকেনা নেই বললেই চলে। একই সুরে মেলায় মন্দাভাবের কথা বললেন মর্ডান প্রকাশনী, সৈয়দ প্রকাশনী আর মিনা বুক হাউজের মালিক। মেলায় আগত জাহাঙ্গীর শেখ নামে এক ক্রেতা বলেন, নামাজ পড়তে গিয়ে দেখলাম মেলা চলছে। ঢুকে দেখি ইসলামি বইয়ের বিশাল সমাহার। আমি জিকির করার নিয়মের একটি বই কিনলাম।বই ছাড়াও মেলার বিভিন্ন স্টলে টুপি, জায়নামাজ, আতর, মেসওয়াক ও তজবি বিক্রি করা হচ্ছে। এই ইসলামি বইমেলা চলবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। এআর/জেএইচ/জেআই