একুশে বইমেলা

বইমেলায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ই-বুক ‘সেই বই’

বাঙালির প্রাণের মেলা, অমর একুশে বইমেলা। লেখক, প্রকাশক, পাঠকের মেলা- অমর একুশে বইমেলা। এবারের মেলায় বইয়ের পাশাপাশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ই-বুক ‘সেই বই’।বিশ্বজুড়ে বইয়ের দুনিয়ায় বিরাট পরিবর্তন এনেছে ডিজিটাল বই বা ই-বুক। কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল বইয়ের (ই-বুক) ব্যবহার ও জনপ্রিয়তাও দিন দিন বাড়ছে। এমনটিই দেখা মিললো বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলার সেই বই-এর ৬৮ নং স্টলে। সেখানে সাধারণ দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা ই-বুক সম্পর্কে জানছেন এবং স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে ইবুক সেই বইয়ের সেবা নিচ্ছেন।বইপ্রেমীদের হাতে বই তুলে দেয়ার একটি নতুন উদ্যোগের নাম সেই বই। এটি মূলত একটি মোবাইল অ্যাপ। মোবাইল থেকে ব্যবহারকারী তার পছন্দের বইয়ের ই-বুক ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন সহজেই। অ্যাপটিতে আছে নির্দিষ্ট অংশ হাইলাইট করা, ডিকশনারি সুবিধা, টেক্সট ছোট-বড় করা, পাতার রঙ পরিবর্তন এবং বইয়ের অংশবিশেষ শেয়ার করা ইত্যাদি।স্টলে দায়িত্বরত সাজেবুল ইসলাম বলেন, বাংলা সাহিত্যকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে ‘সেই বই’। এর বইগুলো পড়ার জন্য পাঠককে `সেই বই` রিডার অ্যাপটি মোবাইল বা ট্যাবে ইনস্টল করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েট এবং আইওএসনির্ভর স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট ব্যবহারকারী পাঠকরা অ্যাপটি ফ্রি ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে পারবেন।সেই বই মূলত ডার্ড গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে জানানো হয়, ১১শ’র বেশি ই-বুক সংরক্ষণে রয়েছে। সব ই-বুকেই ৫০% ছাড় দেয়া হচ্ছে। তবে ক্লাসিক বইগুলো দেয়া হচ্ছে ফ্রি। সেই বই অ্যাপটি ইনস্টল করে একজন ইউজার তার ডেবিট, ক্রেডিট, ভিসা, মাস্টারকার্ড, বিকাশ, এমক্যাশ, ইউক্যাশসহ যেকোনো পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে বই কিনতে এবং পড়তে পারবেন।তারা জানান, প্রকৃতপক্ষে একজন পাঠক বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে পছন্দের বাংলা বই সংগ্রহ করতে পারবেন। আমরা প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। স্টলের সামনে মেলার প্রথম দিন থেকেই পাঠক-গ্রাহকের ভিড় সবসময় লেগেই আছে।স্টলে এসে ই-বুক সম্পর্কে জানছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী হায়দার হোসেন। তিনি বলেন, এটা আসলেই চমৎকার এবং যুগোপযোগী উদ্যোগ। পাশাপাশি সাধারণ পাঠকের এ বিষয়ে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।এএস/এএসএস/এএইচ/পিআর