আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে গোপন করার কিছু নেই। ভারতের সঙ্গে চুক্তি হবে বাংলাদেশের জনগণের জন্যই। জনগণের জন্য চুক্তি করে গোপন রাখার কাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করবেন না।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি মাঝে মাঝে অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়েন। আগে ভারতের সঙ্গে চুক্তি হোক, দেখেন, তারপর বলেন- দেশবিরোধী চুক্তি কি-না। চুক্তি তো গোপন করার কিছু নেই।
কাদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বের ভেতর দিয়ে তিস্তাসহ অভিন্ন সব নদীর চুক্তি হবে। শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে এসবের অগ্রগতি হয়েছে, আরও হবে। গালিগালাজ করলে ভারত কিছুই দেবে না। দেশে যত ন্যায্য অধিকারই থাক আদায় করা সম্ভব হয় না। বন্ধুত্বের ভিত্তিতে আলাপ-আলোচনা করে দাবি আদায় সম্ভব। এর উৎকৃষ্ট প্রমাণ বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত আদায়।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের ধারে কাছে নেই আমরা। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত পাশে না থাকলে কী হত? ইন্দিরা গান্ধী পাশে না থাকলে কী হত আমরা ভুলে যাই। শত্রুতা করে দাবি আদায় করা যায় না।
সম্মেলনের সমাপনী দিনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ঊষাতন তালুকদার।
এইউএ/বিএ/জেআইএম