জাতীয়

চাঁদ রাতেও জমজমাট কেনাকাটা

চাঁদ রাতে রাজধানীর শপিংমল, মার্কেট ও শো-রুমগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দুপুরে ক্রেতা সমাগম কিছুটা কম হলেও আজ রোববার চাঁদ রাত হওয়ায় শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় মানুষের ঢল নেমেছে।

সন্ধ্যার পর রাজধানীর বৃহৎ বিপণিকেন্দ্র নিউমার্কেট, চাঁদনী চক মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, নূর জাহান সুপার মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, নূর ম্যানশন সুপার মার্কেট ও গ্রেটওয়াল শপিংমলসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ভিড় দেখা যায়।

নিউমার্কেটের ভিন্ন ফ্যাশন দোকানের বিক্রেতা আলামীন ও জহিরুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য দিনের চাইতে আজ সারাদিন ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম ছিল। তবে কাল ঈদ হওয়ায় সন্ধ্যার পর ক্রেতার সংখ্যা বেড়ে গেছে।

নিউ সুপার মার্কেট নিউ ঢাকা ফ্যাশানের মালিক মো আরিফ বলেন, এ বছর প্রত্যাশিত বিক্রি হয়নি। তার মধ্যে আজ সারাদিন ক্রেতার সংখ্যা কম। অনেক ক্রেতা কলকতায় কেনাকাটা করতে গেছেন। তাই গত ঈদের চাইতে এবার তার দোকানে প্রায় ৫-৬ লাখ টাকার বিক্রি কম হতে পারে বলে জানান তিনি।

দুপুরে রাজধানীর চাঁদনী চক সুপার মার্কেটের একটি দোকানের সামনে তিন বছরের শিশু নাজিয়াকে কোলে নিয়ে মা শারমিন আহমেদ বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা মোটামুটি শেষ, তারপরেও পরিবার ও আত্মীয় স্বজনকে ঈদের উপহার দেয়ার জন্য আবারও মার্কেটে আসা।’

ঈদ মানেই শুধু নতুন পোশাক কেনা- তা নয়। খুশির এ দিনটিতে আত্মীয়-স্বজন একে অপরের বাসায় যান সবার সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। এ জন্য এই দিনটিতে অনেকেই চেষ্টা করেন নিজেদের পুরনো ঘরটির একটু শ্রী বাড়াতে। এক্ষেত্রে সেই সৌন্দর্যপ্রেমীদের কাছে একটি বড় প্রঙ্গ আধুনিক কাগুজে ফুল। নিউ সুপার মার্কেটে কাগুজে ফুলের দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

সন্ধ্যার পর শুধু মার্কেটগুলোতেই ক্রেতাদের ভিড় ছিল না। নিউমার্কেট এলাকার ফুটপথেও দেখা যায় জুতা, বিভিন্ন ধরনের পোশাক, নারীদের অঙ্গসজ্জার নানা জিনিসপত্র নিয়ে বসা দোকানগুলোতে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন বিক্রেতা ও ক্রেতারা।

রাজধানীর গ্রেটওয়াল শপিংমলে কেনাকাটা করতে আসা মীম হোসেন বলেন, ‘শপিং প্রায় শেষ। কিন্তু তারপরও এলাম, দেখি আরও কিছু পছন্দ হয় কী না। একটু আগে গাউছিয়া মার্কেট গিয়েছিলাম। এখন দেখি গ্রেটওয়াল থেকে কামিজ পছন্দ হলে কিনব।’

গ্রেটওয়াল মার্কেটের বিক্রেতা সুবল দে বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে মার্কেট সারা রাত খোলা থাকবে। কারণ, এ দিনে সারা রাতই ক্রেতাদের আনাগোনা থাকে।’

এমএইচএম/এসএইচএস/পিআর