গাজীপুরে জুয়া খেলার সরঞ্জাম, নগদ টাকা ও নারীসহ ৩৪ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ সময় অশ্লীল নৃত্যের প্যান্ডেল ও জুয়ার আসর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
শুক্রবার দুপুরে র্যাব-১ এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহেনুল ইসলাম এবং র্যাব-১ এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. মহিউল ইসলাম এ তথ্য জানান।
আটকরা হলেন- মো. হেলাল উদ্দিন (৫০) তার সহযোগী মো. জহিরুল (২৭), মো. মানিক মিয়া (৩৫), আতাউর রহমান (৫০) জুলহাস মোল্লা (৩০), মো. অলিমিয়া (২৫), রফিকুল ইসলাম (৩০), রশিদুল ইসলাম (৩৫), মো. আশরাফুল (৩০), মো. আলা উদ্দিন (৩০), আব্দুল মজিদ (৩৫), মো. শহিদুল ইসলাম (৩০), মো. মিজানুর রহমান (৩৫), মো. সেলিম (২৫), স্বপন মিয়া (৩৫), নুরু মিয়া (৩০), মো. হাবিবুল্লাহ (৩৫), রতন (৩০), মফিজ উদ্দিন (৩৫), শ্রী কমল চন্দ্র সরকার (৩৫), লিটন, রেখা বেগম (১৯), রুমানা আক্তার (২৪), রুনা আক্তার (২০), রোজিনা আক্তার (২৩), সাজু বেগম (২০), কোহিনুর বেগম (২২), মীম আক্তার শীমা (১৫), দিপালী বেগম, রুনা আক্তার (২৪), তানিয়া আক্তার (১৯), নাজমা বেগম (২৫), মোছা. শান্তা খাতুন (২০) এবং বিউটি বেগম (১৮)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকায় বনবিলাস হোটেলের পেছনে পরিচালিত অশ্লীল নৃত্যের প্যান্ডেল ও জুয়ার আসরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই আসর পরিচালনাকারী প্রধান হোতা গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার আদাবহ এলাকার মো. হেলাল উদ্দিনসহ (৫০) ২১ জুয়াড়ি ও সহযোগী এবং অশ্লীল নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশনকারী ১৩ নারীকে আটক করা হয়।
জুয়ার আসর পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত ১৯টি মোবাইল, ১টি মোটরসাইকেল, ১টি প্রাইভেটকার এবং জুয়ার আসরের মোট ৮৯ হাজার ২৫৪ টাকা উদ্ধার করা হয়। অশ্লীল নৃত্যের প্যান্ডেল ও জুয়ার আসর ভেঙে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩৩ জনকে এক মাস করে এবং বিউটি বেগম নামে এক নারীকে পাঁচদিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহেনুল ইসলাম, র্যাব-১ এর উত্তরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হানিফ, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ্ এবং গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কুদরত-ই-খুদা।
আমিনুল ইসলাম/আরএআর/পিআর