দেশজুড়ে

বাগেরহাটের সেই শিক্ষককে চাকরিচ্যুতির সুপারিশ

বাগেরহাটে কোচিং সেন্টারের প্রশ্নে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক বেল্লাল হোসেনকে চাকরিচ্যুতির সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

বুধবার বিকেলে নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই তদন্ত কমিটির প্রধান বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শেখ আমজাদ হোসেন বাগেরহাট সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন হাওলাদারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

এরআগে বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বিষয়ে কোচিং সেন্টারে মডেল টেস্টে নেওয়া প্রশ্নপত্রেই বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর মঙ্গলবার পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদের দুই কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

এদিকে বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে অভিভাবক ও সচেতন মহলের মাঝে। তারা স্কুলের সুনাম ও শিক্ষার মানকে সমুন্নত রাখতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শেখ আমজাদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের খণ্ডকালিন আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক শেখ মো. বেল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত শুরু করি। তদন্তের সময় কমিটির সদস্যরা প্রথমে একাধিক অবিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে আমরা শিক্ষক বেল্লাল হোসেনের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। অবিভাবক, শিক্ষার্থী ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য অনুযায়ী তদন্তে অভিযোগের সত্যতা বেরিয়ে এসেছে।

প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন হাওলাদার বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়ে স্কুলের শিক্ষক কাউন্সিল কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। ওই সভা থেকেও খণ্ডকালিন আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক শেখ মো. বেল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি তোলা হয়েছে। তার চাকরিচ্যুতির জন্য স্কুল ব্যবস্থপনা পর্ষদের সভাপতি বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসের কাছে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছি।

শওকত আলী বাবু/এফএ/এমএস