অর্থনীতি

প্লেব্যাক হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে ‘দেশি কারাওক’

একটু-আধটু গান গাইতে পারেন। কিন্তু কখনো মিউজিকের সঙ্গে গান গাওয়া হয়ে ওঠেনি। হয়তো ভালো মিউজিকের সঙ্গে গান গাইতে পারলে আপনার গানটাও খুব ভালো শোনাতো। এমন আফসোস হতেই পারে। তবে আর আফসোস নয় এবার ভার্চুয়াল মিউজিকের সঙ্গে গান গাওয়ার সুযোগ হচ্ছে আপনার। এমনই এক যন্ত্রের সমন্বয়ে বাণিজ্য মেলায় হাজির হয়েছে ‘দেশি কারাওক’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

মেলার প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে ডানের প্রথম গলি দিয়ে একটু এগোলেই ২ নম্বর স্টলটি হচ্ছে দেশি কারাওকের। স্টলটির সামনে দিয়ে যেতেই দেখা যায় সাগর নামের এক দর্শনার্থী মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে গান গাইছেন।

আশপাশে কোনো হারমোনিয়াম, তবলা বা কোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র নেই, নিখুঁত মিউজিকে গান পরিবেশিত হচ্ছে। বেশকিছু দর্শনার্থী স্টলের সামনে জটলা পাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে তার গান শুনছেন।

গান শেষ হওয়ার পর স্টলের দায়িত্বরত কর্মকর্তা নীরবে সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এটি সম্ভব হচ্ছে কয়েকটি যন্ত্রের সমন্বয়ে ইলেক্ট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে। ডিভাইসে এক হাজার ১০০টি জনপ্রিয় বাংলা, এক হাজার ৮৫০টি হিন্দি এবং তিন হাজার ইংরেজি গানের অর্জিনাল মিউজিক রেকর্ড করা আছে। গানগুলো সুন্দরভাবে বিন্যাস করা আছে, যে কোনো গান চাইলে সহজেই রিমোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সিলেক্ট করা যায়। এরপর ওই গানের কথাগুলো টিভি স্ক্রিনে উঠতে থাকে আর রিয়েল মিউজিক বাজতে থাকে। শুধু গানের কথাগুলো সুর আর তাল মিলিয়ে গাইতে পারলেই ব্যাস…। মনে হবে প্লেব্যাক হচ্ছে।

তিনি বলেন, এ ডিভাইসে শিশুদের জন্য রয়েছে আলাদা ২১০টি গান। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে এ ডিভাইসে। একটু অ্যাডজাস্ট করে নিতে পারলেই হলো, নিজ কণ্ঠে গাওয়া গান রেকর্ড করে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ারও করতে পারবেন।

নীরব বলেন, এ ডিভাইস কোনো ক্রেতা কিনে প্রতিদিন বাড়িতে সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন করতে পারেন। এজন্য তাদের জন্য দুটি প্যাকেজ রয়েছে। প্রথম প্যাকেজটির মূল্য ৩৫ হাজার ৯০০ টাকা। বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে চার হাজার টাকা ছাড় দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩১ হাজার ৯০০ টাকায়। দ্বিতীয় প্যাকেজটিতে দুই হাজার ৫০০ টাকা ছাড় দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯ হাজার টাকায়।

গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে সাগর বলেন, বেশ ভালো লাগলো। আগে হারমোনিয়াম-তবলার সঙ্গে গেয়েছি। এখানকার সিস্টেমটা বেশ ভালো। গান গাইতেও খুব ভালো লাগলো।

এমইউএইচ/ এমএআর/এমআরএম/আইআই