বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কাছে ৩০ জনের তালিকা প্রদানের বিষয়টি মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করে এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম।
শনিবার দলীয় কার্যালয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপির কাছে সম্ভাব্য ৩০ প্রার্থীর তালিকা দিয়েছে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক এলডিপি। ড. কর্নেল (অব) অলি আহমেদ বীরবিক্রম বিএনপি মহাসচিবের কাছে এ তালিকা দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। সম্প্রতি কর্নেল (অব) অলির সঙ্গে মহাখালী ডিওএইচএসের বাসায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠক হয়।
শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, মির্জা ফখরুলের সঙ্গে কর্নেল অলির বৈঠকে কোনো তালিকা দেয়ার জন্য হয়নি। বৈঠক হয়েছে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বেগবান করতে করণীয় নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘এ তালিকা নিয়ে যারা অপপ্রচার করছেন কিংবা জোটের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন তারা প্রকারান্তরে সরকারের তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করছে। এখন আমাদের প্রধান কাজ হলো দেশনেত্রীর মুক্তি আন্দোলনকে চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া। মনে রাখতে হবে, এ আন্দোলনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নাই।’
এলডিপির এ নেতা বলেন, এ প্রার্থী তালিকাটি দলের তৈরি। আরও যোগ্য প্রার্থীদের তালিতা প্রণয়ন করা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এলডিপি একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়ন করছে তা স্বাভাবিক। এটি নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি ও অপরাজনীতি করার সুযোগ নেই।
এলডিপি মহাসচিব বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ মন্ত্রীসহ অনেকেই এমপি হতে পারতেন। তখন তিনি সরকারের কোনো প্রলোভনে পা দেননি। এ বিষয়টি বিএনপিকে মনে রাখতে হবে। বিএনপিকে জোটের শরিক দলগুলোকে মর্যাদা দিতে হবে। আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের জন্যও তৈরি থাকতে হবে।
গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি তমিজউদ্দিন টিটুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এলডিপির এম এ বাশার, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন মাহি, উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী নিজামুল হীরা প্রমুখ।
এমএম/জেএইচ/জেআইএম