ভ্রমণ

যে কোনো অবকাশে চুকু লুপি চিলড্রেন্স পার্ক

পাহাড়ে যাদের ঘুরতে ভালো লাগে, তাদের জন্য এটি সুখবরই বলা যায়। কেননা যেকোনো অবকাশে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যঘেঁষা শেরপুর জেলার গারো পাহাড় এলাকার গজনী অবকাশ কেন্দ্রের চুকু লুপি চিলড্রেন্স পার্ক থেকে ঘুরে আসতে পারেন।

বৈশিষ্ট্যবন-বৃক্ষের ছায়াঘেরা নাম না জানা অসংখ্য পাখ-পাখালির কলতান, গারো, কোচ, হাজং, ডালু, বানাই সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি বেষ্টিত পাহাড়ের গায়ে গড়ে ওঠা পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়ায়। শেরপুরের শিল্প প্রতিষ্ঠান ভি-সাইন গ্রুপ পার্কটি প্রতিষ্ঠা করেন। পার্কটির বিদ্যুৎ ও চৌম্বুক শক্তির মাধ্যমে ফ্লাইওভার রেল রাইডস সবচেয়ে আর্কষণীয়। এছাড়া এ পার্কে রয়েছে বৈদ্যুতিক নাগর দোলা, সুপার চেয়ার, মেরি গো রাউন্ড, দোলনাসহ বিভিন্ন রাইডস।

প্রবেশ মূল্যপার্কের প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। প্রতিটি রাইডের জন্য আলাদাভাবে ১০-৩০ টাকা।

থাকার ব্যবস্থারাত যাপন করতে চাইলে শেরপুর জেলা সদরেই থাকতে হবে। ঝিনাইগাতী বা অবকাশ কেন্দ্রে রাত যাপন করার মতো কোনো আবাসিক হোটেল নেই। তবে ভিআইপিদের জন্য জেলা সার্কিট হাউজ, জেলা পরিষদ ও এলজিইডির রেস্ট হাউজ রয়েছে। এছাড়া শহরের আবাসিক হোটেলগুলোও মন্দ নয়।

খাওয়া-দাওয়াসীমান্ত এলাকায় ভালো মানের কোনো খাবার হোটেল নেই। তবে শেরপুর জেলা শহরে ভালো মানের কিছু খাবার হোটেল রয়েছে। জেলার বাইরে থেকে সীমান্ত এলাকার গারো পাহাড়ে বেড়াতে এসে রান্না-বান্নার ব্যবস্থা করতে না পারলে শহরের হোটেল থেকে খাবারের জন্য অগ্রিম বুকিং দিলে প্যাকেট সরবরাহ করা হয়।

যাওয়ার উপায়ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে শেরপুর জেলা সদরের দিকে বেশকিছু ভালো বাস সার্ভিস রয়েছে। এরপর জেলা শহরের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরে গিয়ে সিএনজি বা অটোরিক্শায় পৌঁছে যাবেন অবকাশ পর্যটন কেন্দ্রে। সেখান থেকে অবকাশ কেন্দ্রের মূল ভবন পেরিয়ে গেলেই সামনে হাতের ডানপাশে চুকু লুপি চিলড্রেন্স পার্ক।

এছাড়া জেলা শহর থেকে ভাড়ায় চালিত সিএনজি অটোরিকশা অথবা মাইক্রোবাস ভাড়া করেও অবকাশে যাওয়া যাবে। আর যারা ঢাকা থেকে নিজস্ব গাড়িতে আসতে চান; তারা ময়মনসিংহ হয়ে সরাসরি শেরপুর জেলা সদর দিয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার অবকাশে যেতে পারবেন। তবে শেরপুর শহরে আসার পর খোয়ারপাড় মোড় থেকে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাড়া করে সরাসরি অবকাশ কেন্দ্রে যেতে পারেন।

এসইউ/পিআর