জাতীয়

প্রশ্ন ফাঁস চক্রের ‘মূলহোতা’ পুলকেশ গ্রেফতার

বিভিন্ন ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের সমাধান (উত্তর) সরবরাহকারীদের মূলহোতা পুলকেশ দাস বাচ্চুসহ (৩২) তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত অপর দুইজন হলেন- মনিরুল ইসলাম (২৩) ও মো. ফিরোজ আহমেদ (২৬)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৮টি বিশেষ ডিভাইস ও ১১টি ব্লুটুথ ইয়ারপিস উদ্ধার করা হয়। এর মাধ্যমে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহ করত তারা।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর রমনাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ডিবির উত্তর বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিম। বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগ জানিয়েছে।

ডিএমপি জানায়, পুলকেশ পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে থেকে বিশেষ ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তরপত্র সরবরাহ করত। বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষা কেন্দ্রের কিছু শিক্ষক পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে ম্যাসেঞ্জারে নিয়ে নিত। তারপর সেগুলোর উত্তর বিশেষ ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকা পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠাত।

পুলকেশকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিএমপি জানায়, পুলকেশ কৌশল হিসেবে সে বিশেষ এক ধরনের ইলেক্ট্রিক ডিভাইস কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর মাধ্যমে চায়না থেকে ইমপোর্ট করে নিয়ে আসত। বর্তমানে ওইসব ডিভাইসগুলো সফলতার সঙ্গে ব্যবহার করতে করতে সে এক বড় সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। এ কাজে সে বেশ কয়েকজনকে সহযোগী হিসেবে কাছে পেয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা। এছাড়াও তার কিছু সহযোগী আছে যারা গ্রামে পরিচিতদের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সংগ্রহ করে। সহযোগীদের মধ্যে কেউ কেউ উত্তরপত্র তৈরি, ডিভাইসগুলো পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ ও পরীক্ষার্থীদের শরীরে ডিভাইস স্থাপনসহ সংরক্ষণের কাজ করত। প্রাথমিকভাবে প্রিলিমিনারী পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা নিত। যারা প্রিলিমিনারীতে সফল হত, তাদের কাছে পরবর্তী সময়ে আরও টাকা নেয়া হত।

শুক্রবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছিল ডিবি (উত্তর) বিভাগ। তাদের দেয়া তথ্যমতেই পুলকেশকে গ্রেফতার করা হয়।

এআর/জেএইচ/জেআইএম