পদ্মা বিধৌত রেলের শহর রাজবাড়ী। সেই ব্রিটিশ আমলে রাজবাড়ীতে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয় এর কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও অব-কাঠামোগত কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে। সম্প্রতি সময়ে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনকে বিভাগীয় স্টেশনের দাবি শোনা গেলেও ব্রিটিশের আমলে করা পুরাতন লাল ভবনের দেয়াল ও ছাদের অংশ ভেঙে ওই পুরাতন দেয়ালের উপর দেয়াল দিয়ে ছাদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
জানা যায়, প্রায় ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ী স্টেশনের ১নং প্লাট ফর্ম দুই ফুট উঁচু ভবনটিতে স্টেশন মাস্টার, কার্যরত সহকারী স্টেশন মাস্টার, প্রথম শ্রেণির বিশ্রামগারসহ বেশ কয়েকটি রুম গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হতো। পুরাতন সেই ভবনটি দেয়াল ও ছাদ ভেঙে দুই ফুট উঁচু করার রিপিয়ায় কাজের নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। যার কাজ এখন চলমান রয়েছে।
রেল কর্মকর্তা ও সাধারণ যাত্রীরা জানান, রেল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলেই ভবনটি নতুন করে করতে পারতো। সেই ব্রিটিশ আমলের তৈরি করা পুরাতন জরাজীর্ণ ভবনের ছাদ ও দেয়ালের কিছু অংশ ভেঙে আবার ওই অবশিষ্ট দেয়ালের উপর থেকে শুরু করে ছাদ নির্মাণের কাজ করছে। পুরাতন ভবনের উপর কাজ করায় ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। যে কোনো মুহুর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। কারণ এ ভবনটির কোনো কলাম নেই। ইটের গাঁথুনির উপর দেয়া হবে ছাদ। তারপর পুরাতন দেয়ালের অনেক অংশে ফাটল, শ্যাতশ্যাতে ও প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। শোনা যাচ্ছে এটি রিপিয়ারের কাজ। কিন্তু এটি রিপিয়ার না করে সম্পূর্ণ ভেঙে নতুন করে করলে স্টেশনের সৌন্দর্য্য যেমন বৃদ্ধি পেত তেমনি স্টেশনের অব-কাঠামোগত উন্নয়নও হত। তাই এ রিপিয়ার কাজ না করে নতুন করার দাবি তাদের সবার। এছাড়া রিমডেলিং স্টেশন করার জন্য রাজবাড়ীতে অনেক জায়গা আছে। সেখানে নতুন করে করা হোক। তারা মনে করছেন রিপিয়ার কাজ করা মানে সরকারের টাকার অপচয় করা।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইনফিনিটি ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রতিনিধি জনান, তারা কাজ পেয়ে কাজ করছেন, যেভাবে নির্দেশনা দেয়া আছে সেভাবেই কাজ করছেন। নতুন পুরাতন বা রিপিয়ারের কোনো বিষয় না।
রাজবাড়ী রেলওয়ে উপ-সহকারী নির্বাাহী প্রকৌশলী মো. হানিফ স্টেশনের একটি ভবনের রিপিয়ার ও প্লাটফর্ম উঁচুর কাজ চলছে এ বিষয়টুকু জানিয়ে আর কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো.কামরুজ্জামান জানান, রাজবাড়ী স্টেশনে সংস্কার কাজ হচ্ছে। কিন্তু এ সংস্কার কাজটি যদি সম্পূর্ণ নতুন করে হতো তাহলে যাত্রী ও রাজবাড়ীবাসীর জন্য খুব ভালো হতো। ভবনটি ঝুঁকির বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারা ভালো বলতে পারবেন।
রুবেলুর রহমান/আরএ/এমএস