রাজন ভট্টাচার্যকে ইউনিট চিফ ও পলাশ চন্দ্র দাশকে ডেপুটি ইউনিট চিফ নির্বাচিত করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এর দৈনিক জনকণ্ঠ ইউনিট গঠিত হয়েছে। শুক্রবার জনকণ্ঠ কার্যালয়ে জনকণ্ঠে কর্মরত সাংবাদিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যৌথ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ কমিটি গঠন করা হয়।
এ সময় ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সুর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জনকণ্ঠের শমশের সৈয়দের সভাপতিত্বে ও এম এ হায়দার খানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জনকণ্ঠের রোজেন, শাহিন, রোমেল, তানিয়া, আফজাল, ওয়াজেদ হিরা, রেজোয়ান করিম ও দুলাল চন্দ্র প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, মাসের পর মাস বেতন ভাতা না পেয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জনকণ্ঠের মতো একটি প্রতিষ্ঠিত জাতীয় দৈনিকে সর্বোচ্চ ২৫ মাস থেকে সর্বনিম্ন ৮ মাস বেতন বকেয়া পড়েছে। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের পর বেতন হয়নি। ঢাকা শহরে বাসাভাড়াসহ সংসার চালাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন।
একজন বক্তা জানান, টাকার অভাবে রোজার মাসে বাজার থেকে মাত্র ১টি মুরগী আর ১টি মাছ কিনেছি। সামনে ঈদ আসছে। সন্তানদের হয়তো নতুন জামা কিনে দিতে পারবো না।
আরেকজন বক্তা বলেন, প্রায় প্রতিদিন টাকা ধার করে অফিসে আসতে হয়। বাসায় ভাড়া বাকি পড়ায় রাতের বেলা মুখ লুকিয়ে ঘরে ফিরতে হয়। বক্তাদের সবার অভিন্ন বক্তব্য তারা কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায্য বকেয়া বেতন ভাতা চান।
তারা ডিইউজে নেতাদের জানান, কর্তৃপক্ষ জুন মাসের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বক্তব্যকালে জনকণ্ঠের সাংবাদিক কর্মকর্তা কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে সব সময় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
তারা বলেন, দাবি আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, ঐক্যের কোন বিকল্প নেই মন্তব্য করে তারা বলেন, কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জুন মাসের মধ্যে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও বেতন-ভাতা নিয়মিত প্রদান না করা হলে তারা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
অন্যান্যের মধ্যে ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, জনকল্যাণ সম্পাদক ফারহানা মিলি, কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম মোস্তফা ধ্রুব ও রিমন মাহফুজ উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/এমআরএম/পিআর