ক্যাম্পাস

ঢামেকের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই বাংলাদেশের প্রথম এই মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও ঢামেক অ্যালামনাই ট্রাস্টের উদ্যোগে দিবসটি পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, ফান ডিবেট, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ঢামেক অ্যালামনাই ট্রাস্টের মহাসচিব ও ঢামেক ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম চৌধুরী শামীম জানান, গত দু’বছর ঈদের ছুটি ও অন্যান্য কিছু সমস্যার কারণে ১০ জুলাই ঢামেক দিবস পালন করা সম্ভব না হলেও এবার নির্ধারিত দিনে দিবসটি পালিত হবে। ওই দিন ক্যাম্পাসে শহীদ ডা. মিলন অডিটরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি থাকবেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক।

উল্লেখ্য, ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের প্রথম ও ঐতিহ্যবাহী এ মেডিকেল কলেজের। ঢাকার তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. মেজর ডব্লিউ জে ভারজিন ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সমন্বয়ে গড়া কমিটির প্রস্তাবনা অনুসারে এ মেডিকেল কলেজ চালু হয়।

শুরুতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিজস্ব কোনো ভবন ছিল না। যে ভবনে প্রথম কলেজ চালু হয়, তা ১৯০৪ সালে স্থাপিত হয় পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের সচিবালয় হিসেবে। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলাও শুরু হয় এ ভবন থেকেই। একটি মাত্র ভবন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

কলেজ ও হাসপাতাল ভবন ছাড়াও ঢামেকে রয়েছে নিজস্ব মিলনায়তন, পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্রের জন্য আলাদা ভবন, চার তলাবিশিষ্ট আলাদা বার্ন ইউনিট, ছাত্রছাত্রীদের জন্য হোস্টেল ইত্যাদি। প্রতি বছর ১৮০ ছাত্রছাত্রী এ কলেজে ভর্তি হন এমবিবিএস কোর্সে। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স (এমডি ও এমএস) চালু করা হয়েছে।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন এ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

এমইউ/এসআর/জেআইএম