জাতীয়

ঈদযাত্রায় ২০০ লঞ্চ

পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে শহরের লক্ষাধিক যাত্রী নাড়ির টানে রওনা দিয়েছেন বাড়ির পানে। আজ (সোমবার) ভোর থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত সদরঘাট ছেড়ে গেছে ৪৫টি লঞ্চ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিআইডব্লিউটিএ-এর যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির জাগো নিউজকে বলেন, আজ ও কাল আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে। সরকারি দু’টি ও বেসরকারি ১৯৮টি মিলে মোট ২০০ লঞ্চ চলাচলের জন্য প্রস্তুত রাখা রয়েছে। যাত্রী ভোগান্তি ও হয়রানি বন্ধে কয়েক স্তরের মনিটরিং ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সোমবার দুপুর পর্যন্ত সদরঘাট টার্মিনাল থেকে প্রায় ৪৫টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এসব লঞ্চে লক্ষাধিক মানুষ যাত্রা করেছেন। দুপুরে যাত্রী চাপ কমলেও বিকেলে আবারও বাড়তি চাপ সৃষ্টি হতে পারে। আজ থেকে গার্মেন্ট ছুটি হওয়ায় বাড়তি চাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, যেসব লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেগুলো ২৪ ঘণ্টা চলাচল করবে। গতকাল কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চ অনিয়ন্ত্রিতভাবে ঘাটে আসায় ৭ নম্বর পন্টুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে সেখানে লঞ্চ ভিড়তে পারছে না। এতে করে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ঈদ যাত্রায় নৌপথ নির্বিঘ্ন রাখতে এরই মধ্যে পণ্যবাহী ও বালুবাহী নৌযানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। নদীতে মাছ ধরার জালও নিষিদ্ধ করা হয়েছে ঈদের কয়েক দিনের জন্য। অন্যদিকে নৌবন্দরে র‌্যাব, পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন যাত্রীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায়। পাশাপাশি তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রয়েছে মোবাইল কোর্ট। নাব্য ঠিক রাখতে ড্রেজিংও চলছে। তবে তীব্র স্রোতের কারণে কোথাও কোথাও ফেরি ও ড্রেজার চালানোও কঠিন হয়ে পড়ছে বলেও তিনি জানান।

এমএইচএম/এনএফ/পিআর