প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বি এস সি বলেছেন, মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানরত কর্মীরা আর্থিক জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। সোমবার জাতীয় সংসদে মো. শফিকুল ইসলাম শিমুলের (নাটোর-২) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে মালয়েশিয়া সফরকালে অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করার জন্য দেশটির সরকারের কাছে অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে রি-হিয়ারিং প্রোগ্রাম চালু করে। যার মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়। একই সঙ্গে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। যেখানে বলা হয়, যারা অবৈধভাবে আছে তাদের কোনো প্রকার শারীরিক শাস্তি ব্যতীত শুধু আর্থিক জরিমানা দিয়ে তারা দেশে ফিরতে পারবেন। মন্ত্রী বলেন, বৈধ হওয়ার জন্য রি-হায়ারিং কর্মসূচিতে নাম নিবন্ধনকারী কর্মী/শ্রমিকদের ভিসা প্রাপ্তির কার্যক্রম চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকবে। এর মাধ্যমে ভিসা গ্রহণ করে তারা বৈধভাবে অবস্থান করতে পারবেন।
বিদেশগামী কর্মীদের হয়রানি ও প্রতারণার হাত থেকে রক্ষার বিষয়ে তৎপরতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কর্মীদের বিদেশে প্রেরণের ক্ষেত্রে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করা হলে কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরাধের ধরণ ও মাত্রাভেদে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট ভিজিলেন্স টাস্কফোর্স নিয়মিত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে রিক্রুটিং এজেন্টসমূহের কার্যক্রম নজরদারি অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এইচএস/এমআরএম/এমএস