কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে অনুসারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমারভিত্তিক রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। শরণার্থী শিবিরে হত্যা এবং অপহরণের সঙ্গে আরসার সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর এক ভিডিও বার্তায় এই আহ্বান জানিয়েছে আরসা।
২০১৬ সালে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওপর হামলার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটে আরসার। মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার এই গোষ্ঠীর স্বাধীকারের দাবিতে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে।
দেশটির সরকার সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী হিসেবে দাবি করে রাখাইনের পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে আরসার হামলার পর সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযান শুরু করে। এই অভিযানের মুখে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
আরও পড়ুন : পাউডারে ক্যান্সার, জনসনকে ৩ কোটি ডলার জরিমানা
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি হত্যারও অভিযোগ উঠেছে। সদস্যদের সহিংসতার খবর স্বীকার করে আরসা বলছে, তারা এই ধরনের সহিংসতা সমর্থন করে না।
টুইটারে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় আরসা বলছে, ‘অভিযুক্তরা শুধুমাত্র বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধেই কাজ করছে না, বরং তাদের নিজেদের অপরাধের জন্য আরসাকে কাঠগড়ায় তুলছে। তাদের কার্যকলাপের কারণে পুরো বিশ্বের সামনে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে অপমানিত করা হচ্ছে।’
বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে আরসা এবং যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে রোহিঙ্গাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/পিআর