আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার চার্জশিট খুব অল্প সময়ের মধ্যে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ফেনীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান।
শনিবার বিকেলে জাগো নিউজকে এ কথা জানান তিনি। তবে ঠিক কবে এটি দাখিল করা হবে তার দিন-তারিখ জানাতে রাজি হননি।
মনিরুজ্জামান বলেন, নুসরাত হত্যা মামলায় পিবিআই সদর দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনায় ফেনী পিবিআই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মামলা পিবিআইয়ে হস্তান্তরের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে সব আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মামলার এজহারভুক্ত আট আসামিসহ ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে হত্যার দায় স্বীকার করে আটজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন >> নুসরাত হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে প্রসিকিউশন প্রস্তুত
তিনি বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের গ্রেফতার করছে পিবিআই। গ্রেফতারকৃত ও আদালতে জবানবন্দিতে দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বাকি অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
এ মামলায় আদালতে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন- অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহমেদ, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, আবদুর রহিম ওরফে শরিফ, ইফতেখার হোসেন রানা, এমরান হোসেন মামুন, মহিউদ্দিন শাকিল, হাফেজ আবদুল কাদের ও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ওই মাদরাসার সহ-সভাপতি রুহুল আমিন।
আরও পড়ুন >> ফেনীর এসপি-ওসিসহ ৪০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।
এ ঘটনায় তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
রাশেদুল হাসান/বিএ/এমকেএইচ