হংকংয়ের নেতা ক্যারি লাম অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশটিতে প্রত্যর্পণ বিল পাস হওয়ার সব রকমের কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করেছেন। বিচারের জন্য বাসিন্দাদের চীনের মূলভূখণ্ডে পাঠানোর সুযোগ রেখে করা ওই বিলটি নিয়ে চীনের অধীনস্ত স্বায়ত্বশাসিত হংকংয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ চলছিল। তারই প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনেএ বিল সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত করার কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে পরবর্তীতে এ বিলটি সংশোধন করে পুনরায় উত্থাপনের কথাও জানান তিনি।
বিক্ষোভ দিন দিন বিশাল আকার ধারণ করলে এর আগে এক উপদেষ্টা ও হংকংয়ের বেইজিংপন্থি বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক বিলটি নিয়ে আইন পরিষদে আলোচনা ও ভোটাভুটি ‘কিছু সময়ের জন্য’ স্থগিত রাখার পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে নগরটির প্রধান নির্বাহী জানান, তিনি সবার সঙ্গে বিলটি নিয়ে সমানভাবে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এতকিছুর পরও বিলটির পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, এটি হংকংয়ের নিরাপত্তার জন্য এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ আইন। তাই ফের আলোচনার পর বিলটি সংশোধন করে পুনরায় উত্থাপন করা হবে।
প্রস্তাবিত ওই বিলে তাইওয়ান, ম্যাকাউ বা চীনের মূলভূখণ্ডে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হংকংয়ের বাসিন্দাদের আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে সেসব স্থানে বহিঃসমর্পণের সুযোগ রাখা হয়েছিল। আইনটি ব্যবহার করে চীন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি রাজনীতিকদের ওপর দমনপীড়ন চালাতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেন ১০ লাখের বেশি মানুষ।
১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্য থেকে হংকং চীনের কাছে পুনরায় হস্তান্তরিত হওয়ার পর শহরে এটাই সবচেয়ে বড় আন্দোলন। বেইজিং সমর্থিত প্রত্যর্পণ বিল বাস্তবায়নের পরিকল্পনা থেকে সরে আসার জন্য সরকারের ওপর যথাসাধ্য চাপ প্রয়োগ করতেই পথে নেমেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
এসএ/এমএস