জোকস

সপ্তাহের রসালাপ: গোপালের ভোজন

এক হোটেলে হোটেলওয়ালা ও তার এক বন্ধুর সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন, এমন সময় দেখে যে গোপাল হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে। ওই বন্ধুটি হোটেলের বন্ধুকে বললো, ওই লোকটাকে জব্দ করতে পারবে? হোটেলওয়ালা বললো এ এমন কি?

এদিকে সেই হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে গোপাল এক বন্ধুর জন্যে অপেক্ষা করছিল। হোটেলে মাংস-রান্না হচ্ছে। হঠাৎ হোটেলওয়ালা গোপালকে জব্দ করার জন্য ছুটে এসে তাকে বললো, মশাই। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাংসের গন্ধ শুঁকছেন নিশ্চয়ই দাম দিন শিগগির।

গোপাল তো অবাক। কতক্ষণ পর বিস্ময়টা কাটিয়ে উঠে বললে তোমার মাংসের গন্ধ শোঁকবার জন্যে আমি এখানে দাঁড়াইনি। দাঁড়িয়েছি, এক বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছি ওর দরকারের জন্য। রাস্তাটা তো তোমার হোটেলের ইজারা মহল নয়। রাস্তাটা সরকারের অতএব, তোমার বলার কিছু নেই।

হোটেলওয়ালা ঝাঁজের সঙ্গে বললে তাতে কি হয়েছে? ঘ্রাণেন অর্দ্ধ-ভোজনং। গন্ধ শুঁকলেই অর্দ্ধেক খাওয়া হলো। এক ডিশ মাংসের দাম আট আনা, তার অর্দ্ধেক চার আনা আপনাকে দিতে হবে।

তখন আট আনাতেই বড় এক প্লেট মাংস পাওয়া যেত। গোপাল চার আনার একটি সিকি পকেট থেকে বার করে হোটেলওয়ালার কানের কাছে ঠং ঠং করে বাজালে বারকতক। তারপর আবর সেটিকে পকেটে রেখে দিয়ে বললে ঘ্রাণে যদি অর্দ্ধেক-খাওয়া হয়, তবে শ্রবণেও অর্দ্ধেক পাওয়া হয়েছে। পয়সার বাদ্যি শুনেছো। গন্ধ-শোঁকার সঠিক দাম পাওয়া গেছে তোমার।

কথা কাটাকাটি শুনে সেখানে যেসব পথচারী দাঁড়িয়ে ভিড় করেছিলেন, তারা হেসে উঠলো হো হো করে।

হোটেলওয়ালা মুর্খের মত জবাব পেয়ে মুখটি চুর্ন করে হোটেলের ভেতর চলে গেল। গোপালের উপর টক্কর দেওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু গোপালকে জব্দ করতে এসে নিজেই জব্দ হয়ে গেল জব্বরভাবে।

লেখা: সংগৃহীতছবি: সংগৃহীত

প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।

কেএসকে/জিকেএস