হুমায়ূন আহমেদ এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি এমন ঘরানার সাহিত্যিক, যিনি ছোটগল্প লিখে আলোড়ন তুলেছেন, উপন্যাস দিয়ে মোহগ্রস্ত করেছেন পাঠকদের। সৃজনশীলতার প্রায় সব শাখায় পাঠক ও দর্শকদের নিয়ে বিশাল সাম্রাজ্যও গড়েছেন। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই সবাইকে ছেড়ে তিনি চলে গেছেন অন্তরালে। তবে এখনও তিনি আছেন মানুষের হৃদয়ে, আছেন ভালোবাসায়। সশরীরে না থাকলেও যেন তার স্মৃতি বিজড়িত অন্য প্রকাশই হুমায়ূনের শূন্যতা পূরণ করছে। তাই প্রাণের বইমেলায় এসে অন্য প্রকাশে হুমায়ূন ভক্তদের যেন না গেলে চলে না। বইমেলায় এসে প্রতিদিনই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণের অন্য প্রকাশেই ভিড় করছেন হুমায়ূন ভক্তরা। মেলার শুরু থেকেই অন্য প্রকাশের আবেদন যেন দিনদিন বাড়ছে। দর্শনার্থী ও বইপ্রেমীদের ভিড়ে জমজমাট এ স্টলটি। বিকিকিনিও বেশি। এখানে এসে ভক্তরা যেন হুমায়ূনকে খুঁজে পান। স্মৃতি বিজড়িত স্টলটিও তৈরি করা হয়েছে হুমায়ূনের বিভিন্ন বইয়ের আদলে। স্টলটির চারপাশের উপরের অংশ দেখলে মনে হবে হুমায়ূনের বড় বড় বই এখানে সাজানো। বড় বড় ছবিতে যেন ভক্তদের অন্য প্রকাশে ডাকছেন হুমায়ূন! তাই প্রতিদিনই এখানে ভিড় করছেন হুমায়ূন ভক্তরা। কিনছেন প্রিয় লেখকের বই। মেলার ষোলতম দিনে গিয়েও দেখা যায়, এখানে ভিড় করছে দর্শনার্থীরা। তারা কিনছেন পছন্দের বই। রাজধানীর মালিবাগ থেকে আসা আফসানা আক্তার মৌ জাগো নিউজকে বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ নেই। কিন্তু আজো তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন তার সাহিত্য কর্মের মাধ্যমে। তার শিল্পকর্মের মাধ্যমে তিনি আজীবন তরুণদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। এটা এমন নাম যা কখনো ভুলার নয়।’ একই সুরে বললেন বাংলা কলেজের ছাত্র আহমেদ সেজান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বইমেলায় আজসহ তিনদিন এসেছি। প্রতিবারই অন্য প্রকাশে এসেছি। এখানে আসলে যেন হুমায়ূন স্যারকে খুঁজে পাওয়া যায়।’ অন্য স্টলগুলোতেই তো হুমায়ূন আহমেদের বই আছে, সেখানে যান না কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সব স্টলেই আছে তবে, এখানে হুমায়ূন স্যারের স্মৃতিটা একটু বেশিই। যার জন্য এখানে আসি।’ অন্য প্রকাশের বিক্রয়কর্মীরাও জানান একই কথা। তারা বলেন, প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি। যার কারণে বিক্রিও বেশি। এমএম/এমএইচ/একে/পিআর