রিজার্ভ ব্যাংককের প্রায় ৮শ’ কোটি টাকা চুরিরর সঙ্গে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবীদলের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানে ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, সাম্প্রতিককালে রিজার্ভ ব্যাংকের যে টাকা উধাও হয়েছে তা সঠিক ভাবে খতিয়ে দেখা উচিত। ক্ষমতা থেকে ছিকটে যাওয়ার ভয়ে নিজেদের পুঁজি বাড়ানোর জন্য সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা এই চুরি করেছেন।তিনি বলেন, এই টাকা জনগণের টাকা। জনগণের সম্পদ জনগণকে ফিরিয়ে না দিলে গণরোষের মধ্যম্যে এই সরকারের পতন হবে।আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে রাবিশ ও ভোগাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত কথায় কথায় যেমন রাবিশ, ভোগাস বলেন তেমনি আমি এই নির্বাচন নির্বাচনকে ভোগাস ও রবিশ বলব। কারণ এই নির্বাচনে কোন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও পৌর নির্বাচনের মত ক্ষমতাসীনরা একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছে।দলের কাউন্সিল প্রসঙ্গে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ১৯ মার্চের কাউন্সিলের মূল উদ্দেশ্য হলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রামকে আরো জোরদার করা। এই কাউন্সিলে ত্যাগী ও সাহসী নেতারা চেয়ারপারসনের দিকে তাকিয়ে আছেন। তারা যেন তাদের যথাযত মূল্যায়ন পায়। অন্যদিকে চাটুকার ও ধোঁকাবাজ নেতারা ১/১১ সহ বিগত আন্দোলনে সংগ্রামের বাইরে যারা ছিল তারা এখন চরম থেকে চরমভাবে ঐক্যবন্ধ হয়ে সংগগঠিত হচ্ছে, কিভাবে চেয়ারটাকে ধরে রাখা যায়। আমি আশা করি কাউন্সিলে যোগ্য নেতাদেরকেই স্থান দেয়া হবে।জনগণের আদালতেই প্রমাণিত হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আদালতের রায়ে এদেশের স্বাধীনতা আসেনি। আদালতের চেয়ে বড় জনতার আদালত। এই আদালতেই প্রমাণিত হয়েছে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক।আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাজী মো. লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন,বিএনপি নেতা মঞ্জুরুল হক ইসা প্রমুখ। এমএম/এসকেডি/এবিএস