জাতীয়

সহিংসতা রুখতে মাঠে নামছে ১ লাখ ৮০ হাজার নিরাপত্তাকর্মী

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতা ও নাশকতা রুখতে মাঠে নামছে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার নিরাপত্তাকর্মী। এদের মধ্যে রয়েছে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, আনসার। পাশাপাশি এদের সঙ্গে কাজ করবে কমিউনিটি পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ। পুলিশ হেড কোয়াটার্স সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোট ৪০ হাজার পুলিশ সদস্য, ৯ হাজার র‌্যাব, ৯ হাজার বিজিবি, ৪ হাজার আনসার মোতায়েন থাকবে। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা কাজ করবে।  এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী নিরাপত্তাকর্মী মোতায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তাকর্মীরা অস্ত্রসহ ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবেন। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুলিশের একটি মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। টহল দেবে র্যাব-বিজিবির মোবাইল টিম। যে কোন ধরনের অপরাধ দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। পুলিশ হেড কোয়াটার্সের হিসেব অনুযায়ী, সারাদেশে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে মোট ২০৮টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ বিষয়ে আইজিপি বলেন, নির্বাচন পূর্ববর্তী সহিংসতার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা অপরাধ করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না। এদিকে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী নিরাপত্তার পরিকল্পনাও করেছে পুলিশ। নির্বাচনে পরাজয় মেনে না নিয়ে যদি কেউ হাঙ্গামা করে অথবা বিজয় মিছিলের নামে বিশৃঙ্খলা হলে কঠোর হাতে তাদের দমন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘নির্বাচনে গোলাযোগ, মাস্তানি করে লাভ হবে না। প্রিজাইডিং অফিসার চাইলে সেখানকার নির্বাচন স্থগিত করে দিতে পারেন। নির্বাচনে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’ এআর/জেএইচ/এবিএস