বাংলাদেশে ব্লগারসহ চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আন্তর্জাতিক নয় বরং দেশীয় উগ্রবাদি বিভিন্ন সংগঠন জড়িত। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা ও আইএসের নাম ভাঙ্গিয়ে এ দেশে মোট ছয়টি জঙ্গি ও উগ্রবাদি সংগঠন এসব হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের সভাকক্ষে সফররত দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া-বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে তাকে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলো হলো ; সাদাত আল হিকমাহ, জেএমবি, জেএমইউবি, হরকাতুল জিহাদ আল বাংলাদেশ, হিজবুত তাহির ও আনসারউল্লাহ বাংলা টিম। বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের পর আল কায়েদা ও আইএস দায় স্বীকার করলেও প্রকৃতপক্ষে জেএমবি ও আনসারউল্লাহ বাংলা টিম এ সব হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়ক বলে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপি অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা ২৮টি মামলার মধ্যে ৮টি ব্লগার, ১টি প্রকাশক, ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিদেশি নাগরিকসহ আরো ১৫টি মামলা রয়েছে। ব্লগার হত্যাকাণ্ডে ৮টি মামলার ৩টি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হত্যাকাণ্ডে ৪টি মামলার ৩টি ও বিদেশি নাগরিকসহ চাঞ্চল্যকর ১৫টি মামলার ১১টিসহ ১৭টি মামলার বিচার চলছে। ১১টি মামলার তদন্ত চলছে। তার মধ্যে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ৫টি, প্রকাশক ১টি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ১টি ও বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডসহ ৪টি মামলা রয়েছে। বৈঠকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৯০ ভাগ ঘটনার রহস্য উন্মোচিত দাবি করে বলা হয় এ পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। বর্তমানে তা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। কার্যকর কাউন্টার টেরিরিজম পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। বৈঠকে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গি সংগঠনগুলোর পেছনে জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির জড়িত বলে নিশা দেশাইকে জানানো হয়। তারা জেএমবি ও আনসারউল্লাহ বাংলা টিম নামে এ সব কাজ পরিচালনা করছে বলেও দাবি করা হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পুলিশের আইজি, র্যাবের ডিজিসহ বিভিন্ন আইন-শৃংখলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।এমইউ/এসকেডি/এআরএস/পিআর