দেশজুড়ে

কেরু চিনিকলের শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু চিনিকলের শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক সাধারণ নির্বাচন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেরু গেস্ট হাউজে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে মিলের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Advertisement

মূলত এই ঘটনার সূত্রপাত হয় ৩ ফেব্রুয়ারি। যখন কেরু চিনিকল শ্রমিকরা তাদের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সৌমিক হাসানকে পঞ্চগড় সুগারমিলে বদলি করার খবর পান। সৌমিক হাসান কেরু চিনিকলের পার্বতীপুর বন্ডেড ওয়ার হাউজের ইনচার্জ ছিলেন। তার বদলি আদেশটি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের চিফ অপারেশনাল অফিসার হামিদুল হকের দ্বারা স্বাক্ষরিত হলে বৃহস্পতিবার মিল এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বদলির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা এদিন দুপুরে মিলের ডোঙা, কারখানা এবং বয়লারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। ওইদিন শ্রমিকরা বিকেল ৫টার দিকে মিলের প্রধান ফটকের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও মিছিল করেন। পরে শ্রমিক ইউনিয়ন এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে মিল কর্তৃপক্ষ রাত ১২টা ৩ মিনিটে কারখানার কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়।

তবে ১০ ঘণ্টা ধরে মিল বন্ধ থাকার কারণে মাড়াই মৌসুমে গুরুতর আর্থিক ক্ষতি হয়। মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।

এরপর শুক্রবার কেরু গেস্ট হাউজে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সাবেক শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি ফিরোজ আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, জয়নাল আবেদিন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আ. ছাত্তার এবং মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাব্বিক হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে কেরু শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ নির্বাচন স্থগিত থাকবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি কেরু চিনিকলে শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে বর্তমানে এটি স্থগিত করা হয়েছে।

কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।

হুসাইন মালিক/এফএ/জিকেএস

Advertisement