জাতীয়

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক করতে চান উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

দাদন থেকে মৎস্যজীবী ও খামারিদের বাঁচাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংকের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে কথা হয়েছে আজকের সম্মেলনে। গবাদিপশু পালনকারীদের কৃষি ঋণ সুবিধার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করতে চাই আমরা।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন হয়। অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

‘জাল যার জলা তার’-নীতি অনুসরণ করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সরকারি জলমহাল ইজারা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। এমন তথ্য জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের জলমহলগুলো অমৎস্যজীবীরা ইজারা পাবে সেটা হবে না, প্রকৃত মৎস্যজীবী যারা তারা পেলে উপকৃত হবেন। এসব ইজারা বিষয়ে ডিসিদের বড় ভূমিকা থাকে, আমরা নির্দেশ দিয়েছি তারা যেন সেটা ঠিকভাবে করেন।

আরও পড়ুন

দুর্নীতির মূলোৎপাটনে ডিসিদের সহযোগিতা চাইলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কবজি কেটে উল্লাসের ভিডিও টিকটকে দিতো ‘কবজি কাটা গ্রুপ’

তিনি বলেন, মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ অভিযান এবং অবৈধ জাল ও ফিশিং গিয়ারের ব্যবহার বন্ধে অভিযান জোরদার করার বিষয়ে বলা হয়েছে। এছাড়া কারেন্ট জালসহ অবৈধ জাল ও ফিশিং গিয়ার তৈরি, বিপণন ও বাজারজাত বন্ধ করায় অভিযান জোরদার করতে বলা হয়েছে। দেশের জলাশয় পুনঃখনন, অভয়াশ্রম ও বিল নার্সারি স্থাপনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

ফরিদা আখতার বলেন, পতিত জলাশয় মাছ চাষের আওতায় আনা, হাওরাঞ্চলের মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মৎস্যজীবীদের তালিকা হালনাগাদ করে প্রকৃত জেলেদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সহায়তা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তাদের বলা হয়েছে, সরকার সুলভমূল্যে রমজানে যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, তারা (ডিসি) নিজ নিজ জেলায় এই ব্যবস্থা করবে। রমজানে সুলভ মূল্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রি কার্যক্রম করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের বাজেটে প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য নির্দিষ্ট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় গবাদিপশু চোরাচালান বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কোরবানির হাট ব্যবস্থাপনায় ভেটেরিনারি টিমকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান ও হাটে প্রাণিকল্যাণ আইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, জেলা প্রশাসকরা আমাদের জানিয়েছেন যে কৃষিজীবীরা বিদ্যুৎ বিলের রিবেট সুবিধা পান না। এর জন্য আমরা ডিও দিয়েছি। আশা করি এ সমস্যা সমাধান হবে।

তিনি বলেন, কৃষি জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে মাটি ও জলজ উৎস থেকে খাদ্য গ্রহণকারী গবাদিপশু-পাখি বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় পরিবেশবান্ধব সমন্বিত ব্যবস্থাপনা গ্রহণে নজরদারি করতে বলা হয়েছে। বন্যায় বা দুর্যোগে গবাদিপশুর আশ্রয়ের জন্য পর্যাপ্ত গোমাঠ, উঁচু মাটির ঢিবি ও টিলা স্থাপনের জন্য ডিসিদের বলা হয়েছে।

এনএইচ/কেএসআর/এমএস